দেশের নৌপথ কে নিরাপদ রাখতে এবং মৎস্য ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণে নৌ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নৌ-পুলিশের ক্রমাগত অভিযানের কারণে দেশে জাতীয় মাছ ইলিশ সহ সকল প্রকার দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মৎস্য সম্পদ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত রাজস্ব দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে।

নিষিদ্ধ কালীন মাছ শিকার বন্ধ রাখা এবং নৌপথের নিরাপত্তা প্রদানে নৌ পুলিশ প্রথমবারের মতো চাঁদপুরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি “ড্রোন” ব্যবহারের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

নৌ পুলিশ প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম-বার পিপিএম এঁর নির্দেশক্রমে  নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) এবং চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুরের ষাটনল, মোহনপুর, একলাশপুর , চর উমেদ, লক্ষীরচর, রাজরাজেশ্বর এবং চাঁদপুর সদরে  এই অভিযান চালানো হয়।

এই অভিযানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ড্রোন এর মাধ্যমে চিহ্নিত করে নদীতে পেতে রাখা ১০ লক্ষ ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ০৩টি বাল্কহেড, ০৪টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ এবং ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

নদীতে “ড্রোন” ব্যবহার করা প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান,” নদীপথে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি “ড্রোন” ব্যবহার নদী পথের অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। কোনো অপরাধের পূর্ব প্রস্তুতি, অপরাধী ও অপরাধের স্থান নির্ধারণ  এই ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।”

নদীপথের সংঘটিত বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে  ড্রোনের ব্যবহার এক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন