নড়াইলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন স্থাপন করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। এটি নিয়ে নড়াইলে যোগদানের পর পুলিশ সুপার মোট ১৩৭টি দ্বন্দের অবসান ঘটিয়েছেন। আর এ দ্বন্দের অবসানের মধ্য দিয়ে নতুন করে সম্প্রীতির বন্ধন স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৪টায় নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আমাদা গ্রামের নাইস খাঁ ও কাশেম আলী খাঁ দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান দ্বন্দের নিরসন ঘটানো হয়। এই সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র, লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সিকদার হারুন-অর-রশিদ রুনু, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, দু’পক্ষের কর্মী ও সমর্থকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। জানা গেছে, আমাদা গ্রামের নাইস খাঁ ও কাশেম আলী খাঁ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ চলে আসছিল। এই দ্বন্দের জেরে ওই এলাকায় অনেকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে ওই এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক অবনতি ঘটেছে। বিষয়টি নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাসকে দুই পক্ষকে সাথে নিয়ে একটি সভার আয়োজন করতে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশনা পেয়ে ওসি সভার আয়োজন করলে সেখানে গিয়ে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে তিনি দুই পক্ষের দ্বন্দের অবসান ঘটান।

এ সময় জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে পুলিশি সেবা জনগণের দোঁরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নড়াইল জেলা পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তাদের এই পরিশ্রম বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। পুলিশি সেবার অপব্যবহার করে কেউ যদি পুনরায় দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) তাঁর বক্তব্যে বলেন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সামাজিক ব্যধি। এগুলো সমাজে শুধু বিশৃঙ্খলাই সৃষ্টি করে। তাই সকলকে এগুলো পরিহার করা উচিৎ। বর্তমানে নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। সকলে মিলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের সেবার মান আরও উন্নত হবে। যেহেতু মানুষের বিপদের সময়ের প্রধান আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ সেহেতু পুলিশকে তার কাজের প্রতি আরও আন্তরিক হতে হবে। এছাড়াও ইয়াবা, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন