বইপ্রেমী মানুষের ভালবাসার ছোঁয়া লেগেছে যেন শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বইমেলায়।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 258 দর্শন

 

সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে চলছে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৮ দিনব্যাপী বইমেলা।

রবিবার ছিলো বইমেলার দ্বিতীয় দিন। এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। বইমেলা আমাদের সংস্কৃতির উৎসব। এ বইমেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। সবার ভালবাসার প্রকাশ, লেখকের মনের সিঞ্চন, প্রাণের আঙিনা। সবার পাশাপাশি তরুণদেরও তাই অপেক্ষা নতুন বইয়ের মলাটে, বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে যে একটা গন্ধ আছে সেটা নেয়ার। সবমিলিয়ে মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে দেখা যায় দর্শণার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। আগতদের বেশিরভাগই ছিল তরুণ-তরুণী। মেলার দ্বিতীয় দিনে তারুণ্যের ঢেউ জাগে। বিকেল গড়াতেই মেলায় নামে মানুষের ঢল। আর পছন্দের বইটি কিনতে উল্লেখযোগ্য স্টলগুলোতে পড়ে যায় ভীড়। কথা আর আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে অনেককেই ভিড় জমাতে দেখা যায় স্টলগুলোতে। বইপ্রেমী মানুষের ভালবাসার ছোঁয়া লেগেছে যেন শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বইমেলায়। দলবেঁধে ঘুরেছে মেলায় আর পছন্দের বই দেখছে। কেউ বই কিনছে, কেউ আবার এদিক-সেদিক ঘুরে ঘুরে দেখছে। আবার কেউ কেউ ভালবাসার মানুষটিকে বই উপহার দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। মেলা প্রাঙ্গনে শিল্পী-কবি, সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সমৃদ্ধ আলোচনায় মুখর ছিলো হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল। গানের আয়োজনে কাটে হেমন্ত সন্ধ্যা।

গানের আকর্ষণ তরুণদের টেনে নিয়ে যায় মেলা প্রাঙ্গণে। কলেজ ছাত্রী শারমিন সুলতানা ইতি বলেন, ‘শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের এ বইমেলায় ছুটে আসি শেকড়ের টানে। আমাদের ভাষা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ মেলা তৈরি করে সম্প্রীতির মেলবন্ধন। শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন ‘বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম স্মারক হচ্ছে বইমেলা। লেখক-পাঠকদের মিলনমেলা তো বটেই। বন্ধুদের সঙ্গে নির্মল আড্ডায় সময় পার হয়ে যায়। মেলায় আগতরা একে অপরকে উপহার দিয়েছেন প্রিয় লেখকের নতুন বই। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের ব্যতীক্রমী এ আয়োজন আমাদের শিশুদের সৃজনশীলতার বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখবে।এদিকে রবিবার মেলার দ্বিতীয় দিনে সন্ধায় স্টল পরিদর্শনেে আসেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক জনাব এসএম মোস্তফা কামাল। এসময় জেলা প্রশাসক স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং কি পরিমানে বই বিক্রি হয়েছে তা খোজখবর নেন স্টল মালিকদের নিকট থেকে। এসময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী সহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ উপস্থিত ছিলেন।

Patrodut net





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন