বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গণশুনানী অনুষ্ঠিত।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 393 দর্শন

 

 

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোমরাস্থল বন্দর সম্মেলন কক্ষে গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বন্দরের সমস্যা ও সংকট শুনানী গ্রহণ করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য(ট্রাফিক) যুগ্ম সচিব ড. শেখ আলমগীর হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুগ্ম সচিব হাওলাদার জাকির হোসেন। ভোমরাস্থল বন্দরের উপ-পরিচালক(প্রশাসন) রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন হোসেন, সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সদস্য সচিব ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ভোমরা সিএন্ডএফএজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ.এম আরাফাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, ভোমরা সিএন্ডএফএজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খান,যুবলীগ নেতা মীর মহিতুল আলম, ৩৩ বিজিবি’র ভোমরা ক্যাম্পের হাবিলদার বিশ^জিতসহ বন্দরের ব্যবসায়ী, কর্মচারী এসোসিয়েশন ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীক সুবিধার্থে বন্দর ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা প্রয়োজন। তা না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কারণ সকাল ১০টায় বন্দর চালু হয়ে ৬টায় বন্ধ হচ্ছে। এত অল্প সময়ে স্বল্প সংখ্যাগাড়ী প্রবেশ করতে পারে। আর ওপারের প্রবেশের অপেক্ষায় শতশত গাড়ী দাঁড়িয়ে থাকে। আবার পরিমাপের জন্য ২টি স্কেল থাকলেও একটি সারা বছরই বন্ধ থাকে। অথচ এখানে প্রয়োজন ৫টি স্কেল। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ। এছাড়া বন্দরে প্রবেশ করে কেউ বাথরুম ব্যবহার করুন না করক। গাড়ীপ্রতি জোরপূর্বক বাথরুমের জন্য ১০ টাকা আদায় করা হয়। এ বিষয়ে উপস্থিত সকলেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিকারের দাবি জানান।
অন্যদিকে রাতে বন্দরে গাড়ী ঢুকালেই জোরপূর্বক নাইট চার্জ আদায় হয়। যা অন্য বন্দরে করা হয় না। সম্প্রতি ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা হলেও ব্যবসায়ীরা সেটি ব্যবহার করতে পারে না। অথচ ওয়্যারহাউজের জন্য ঠিকই টাকা আদায় করা হয়। লেবার বিল দুইবার নেওয়া। একবার বন্দর কর্তৃপক্ষ নেয়। আবার শ্রমিকদের বকশিস না দিলে মালামাল আনলোড হয় না। যা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

শুনানী গ্রহণ শেষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সমস্যা(ট্রাফিক) যুগ্ম সচিব ড. শেখ আলমগীর হোসেন বলেন, ধীরে ধীরে আমরা সকল সংকট কাটিয়ে উঠবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ভোমরাবন্দরও এগিয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি সকল বন্দরের সকল সমস্যা কাটিয়ে একটি আধুনিক বন্দরে রুপান্তর করার।
গণশুনানী অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রেজাউল করিম।

 

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন