মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে দাওয়াত নয় : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 334 দর্শন

 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে যাতে আমন্ত্রণ না জানানো হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি, তাঁরা যেন এসব মানুষদের প্রতি নজর রাখেন। একইসঙ্গে তাঁরা যেন এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে এসে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়াতে পারেন, এ বিষয়ে আজ আমরা একমত হয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আজ আমরা আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্তগুলো হলো, বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তবে সেটি হতে হবে আমাদের জাতীয় পতাকার নির্দিষ্ট কোড অনুযায়ী। মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পতাকার মাপ, রং, আকার ঠিক রেখে উত্তোলন করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি যারা বিভিন্নস্থানে পতাকা তোলেন, সেখানে পতাকার রং, নিদিষ্ট মাপ ঠিক থাকে না। ছেঁড়া ও মলিন পতাকা তোলা হয়। তাই আজ আমরা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৬ ডিসেম্বর যে পতাকাটি তুলবেন, সেটা যেন নিদিষ্ট রং, মাপ ঠিক রেখে হয়।

তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমরা ১৬ ডিসেম্বর ঘটা করে উদযাপন করলেও ১৪ ডিসেম্বর সেভাবে পালন করি না। তবে এ বছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য পর্যাদায় পালন করা হবে। এ জন্য ১৪ তারিখে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বরের পরে যে কেউ ১৬ ডিসেম্বর উদযাপনের জন্য আলোকসজ্জা করতে পারবেন।

তিনি বলেন, বিজয় দিবস সবাই হৃদয় দিয়ে উদযাপন করতে চান বলে পতাকা তোলেন। এতে কোনো আপত্তি নেই। তারা যেখানে তোলার তুলবেন। কিন্তু এরপরের দিন নিয়ম অনুযায়ী পতাকাটিকে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে নামাতে হবে। তাছাড়া, বিজয় দিবসে কর্মসূচি অনুযায়ী যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন, তাদের অবশ্যই সাতদিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।

সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার), জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন