মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিএমপির উদ্যোগে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 179 দর্শন

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রথম যেখানে আক্রমণ চালিয়েছিলো ঢাকায় সেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকেই বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ রচনা করেছিলেন। এই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২.০০ টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোট ১৬ জন  বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। আগত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনা সহ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। এই সময়ে অনেকে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন-আপনারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা কথা দিতে পারি এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা আমরা করব। যারা এই স্বাধীনতা নস্যাৎ করার চেষ্টা করবে আমরা জেগে আছি জাতির ক্রান্তিকালে অবশ্যই তাদের প্রতিহত করা হবে।

তিনি আরও বলেন- জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা কেউ করতে পারবে না। এই দেশে থাকতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানতে হবে, তাঁকে স্বীকার করতেই হবে। যারা মানবে না তারা ও তাদের পরিবার এই দেশে থাকতে পারবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ করেছিল পুলিশ বাহিনী এটাই আমাদের অহংকার। পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ বুকে ধারন করে কাজ করলে তাঁদের আত্না শান্তি পাবে।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মন্ডল (অব: ডিআইজি) বলেন- বিজয় দিবস, বাংলাদেশের পতাকা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাথাঁ। একটি ছাড়া অন্যটি চলে না। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে চেনে না কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ঠিকই চেনে। তাঁর সন্মান আমাদের রক্ষা করতেই হবে।

মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা মানে বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা, স্বাধীনতা ও সংবিধানকে অপমান করা। বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আপনারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। রাজারবাগ থেকেই প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এর কয়েকদিন পরেই রাজারবাগে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়, এটি পুলিশের একটি অর্জন।

এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিট প্রধান মো: মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত  কমিশনারগণ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন