কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা: এরই লক্ষে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন দেবহাটা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করছেন পুলিশ সদস্যরা।

বিগত বছরে থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে ২৮৫ বোতল ফেসিডিল, ইয়াবা, দেশীয় মদ সহ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে খুন, ধর্ষণ, চুরি, মারামারি, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার এজাহারভূক্ত, সাঁজাপ্রাপ্ত ও বিভিন্ন মামলায় ১২৩ জন আসামী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দেবহাটা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারী মাসে থানায় ৫টি মাদক, একটি অপহরণ সহ মোট ১০টি মামলা হয়। যার মধ্যে ৪৭ বোতল ফেনসিডিল ২ জনকে আটক করে পুলিশ।

এছাড়া জিআর মামলায় আরো ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

ফেব্রুয়ারী মাসে থানায় ৫টি মাদক, একটি অপহরণ, একটি চোরাচালান সহ মোট ১২টি মামলা হয়। যার মধ্যে ১৫বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় ১৪ এবং সিআর মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মার্চ মাসে থানায় ০৩টি মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুইটি সহ মোট ১৪টি মামলা হয়। যার মধ্যে ৫১বোতল ফেনসিডিল ২ জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় ৩ জন এবং সিআর মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এপ্রিল মাসে থানায় ১টি মাদক, একটি ধর্ষণ সহ মোট ০৪টি মামলা হয়। করোনা মহামারি প্রভাবে লকডাউন এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকায় কোন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে এসময় পুলিশ মানুষকে ঘরে ফেরাতে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও করোনা সংক্রামন ঠেকাতে জীবনবাঁজি রেখে মাঠে কাজ করে।

মে মাসে থানায় মোট ০৬টি মামলা হয়। করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
জুন মাসে থানায় একটি খুন, ৩টি মাদক সহ মোট ০৯টি মামলা হয়। যার মধ্যে ৬১৫ পিচ ইয়াবা, ৪০ লিটার দেশীয় বাংলা মদ সহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

জুলাই মাসে থানায় ০২টি মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি সহ মোট ০৮টি মামলা হয়। যার মধ্যে ১৩ বোতল ফেনসিডিল ২ জনকে আটক করে পুলিশ।

আগষ্ট মাসে থানায় ০৪টি মাদক সহ মোট ১৩টি মামলা হয়। যার মধ্যে ১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৩৮ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় ০৩ কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

সেপ্টেম্বর মাসে থানায় ০২টি মাদক, একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সহ মোট ০৬টি মামলা হয়। যার মধ্যে ১০বোতল ফেনসিডিল ২ জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় আরো ২০ জন এবং সিআর মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

অক্টোবর মাসে থানায় ০৩টি মাদক সহ মোট ১১টি মামলা হয়। যার মধ্যে ৪৪ বোতল ফেনসিডিল ২জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় ১৬ জন এবং সিঅঅর মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

নভেম্বর মাসে থানায় একটি খুন, একটি মাদক সহ মোট ০৭টি মামলা হয়। যার মধ্যে ৭০গ্রাম গাঁজা ০২ জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় ৯ জন এবং সিআর মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

ডিসেম্বর মাসে থানায় ০৫টি মাদক, একটি ধর্ষণ, একটি অপরহরণ সহ মোট ১০টি মামলা হয়। অভিযান চালিয়ে ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া জিআর মামলায় ৫ জন এবং সিআর মামলায় এক জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলি (দেবহাটা সার্কেল)অতিরিক্ত দায়িত্বে কালিগঞ্জ সার্কেল  জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় থানা হওয়ায় মাদকের প্রভাব বেশি। আমি যোগদানের পর থেকে থানা এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রেখে মাদক নির্মূল করতে নিয়মমিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের একার পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব না।

তাই যারা মাদক বিক্রি করে এবং যারা সেবন করেন তাদের তথ্য দিয়ে থানা পুলিশকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া তথ্য দাতার পরিচয় গোপন থাকবে বলেও জানান ওসি বিপ্লব কুমার সাহা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন