খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মানবিকতাবিহীন নৈতিকতা কোন কল্যাণে আসে না। ধর্ম এমনই একটি জিনিস যা সবকিছু ধারণ করে। সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে মূল্যবোধের উন্মেষ ঘটাতে পারলে সমাজে প্রকৃত কল্যাণ ঘটবে।

সংসদ সদস্য আজ (বুধবার) খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে খুলনা জেলা প্রশাসন এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা’ শীর্ষক জেলা কর্মশালার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদেরকে ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নৈতিকতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অবদান শিশুদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক রঞ্জিত কুমার দাস। শুভেচ্ছা জানান প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক পর্ণা রায় চৌধুরী।

কর্মশালায় জানানো হয়, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটির পঞ্চম পর্যায় চলমান। প্রাক প্রাথমিক, গীতা শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রকল্পের প্রধান কাজ। এছাড়া নিরক্ষরতা দূরীকরণে, বিদ্যালয়ে গমনোযোগী শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তিতে এবং ঝরে পড়ারোধ করতে প্রকল্পটি কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তব রূপায়নে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের সফল বাস্তবায়নের পর মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায় প্রকল্পটি ২০১৭ সালে জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে ডিসেম্বর ২০২০ সালে শেষ হবে।

পঞ্চম পর্যায় প্রকল্পে সরাদেশে মন্দির আঙ্গিনাকে ব্যবহার করে পাঁচ হাজার আটশটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ২২ হাজার শিশুকে প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাদান করা হবে। কার্যক্রমের সকল শিশুকে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাক্রম শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। বিধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন নিশ্চিতকরণের পথ প্রশস্ত হয়েছে। দুইশত ৫০টি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার শাতশ ৫০ জন বয়স্ক শিক্ষার্থীকে নিরক্ষরমুক্ত করে উন্নত জীবন যাপন সর্ম্পকে সচেতন করা হবে। চারশটি গীতা শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে গীতা শিক্ষার পারদর্শী করা হবে।

কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশ নেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন