ঢাকা-সিলেট এবং চট্টগ্রামের পর এবার রাজশাহী মহানগরীতে প্রথমবারের মতো ট্রাফিক পুলিশের বডি ওর্ন ক্যামেরা চালু করলো রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আজ ২৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের বডি ওর্ন ক্যামেরার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্জেন্টদের জন্য বডি ওর্ন ক্যামেরার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রথমবারের মতো ট্রাফিক বিভাগকে ৮০ টি ক্যামেরা দিয়ে এই কাজ শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে থানা-ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বডি ওর্ন ক্যামেরা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে মাননীয় আইজিপি মহোদয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উন্নতদেশের পুলিশের মতো এই বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযোজনের মধ্যে দিয়ে প্রযুক্তিগত কার্যক্রমে আরএমপি আর এক ধাপ এগিয়ে গেল। এর ফলস্বরূপ পুলিশের কাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আসবে সেই সাথে পুলিশের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্তে সহায়তা করবে এই ক্যামেরা। এই বডি ওর্ন ক্যামেরাতে দূর্ঘটনা, আইনশৃঙ্খলাসহ আশপাশের সব দৃশ্য ধারণ করা থাকে, পুলিশের পাশাপাশি এর সুফল পাবে সাধারণ জনগণও।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা বলেন,প্রতিটি ক্যামেরা ৪০ মেগা পিক্সেল একবার চার্জ দিয়ে ১২ ঘন্টার অধিক সময় Full HD ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরানো যাবে, ওয়াইফাই ৩জি, ৪জি ও জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি যেকোনো স্থানে বসেই সবকিছু তদারকি করা যাবে।
আরএমপিতে কর্মরত সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকাতে বডি ওর্ন ক্যামেরা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে। অনেক সময় গাড়ির কাগজপত্র চাইলে, মামলা করতে গেলে চালকেরা কর্মরত পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং অনেক সময় অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ করেন। বডি ওর্ন ক্যামেরা থাকলে বিষয়টি স্পষ্ট করার সুযোগ থাকবে। পরবর্তীতে কেউ কিছু অস্বীকার করতে পারে না। যার ফলে অনেক ঝামেলা কমে আসবে।
উল্লেখ্য, পুলিশ কমিশনার আরএমপিতে যোগদানের পর থেকে প্রযুক্তিনির্ভর বেশ কিছু কাজ করেছেন। পৃথক সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন, নগরজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার এর মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ, কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরী, ডিজিটাল সেবা ও তথ্য আদান-প্রদানে হ্যালো আরএমপি অ্যাপ তৈরী। তাঁর এই প্রযুক্তিগত কার্যক্রমের ধারবাহিকতায় এবার ট্রাফিক বিভাগে বডি ওর্ন ক্যামেরা চালু করলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ মজিদ আলী বিপিএম ও উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মোঃ সাজিদ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা সহ আরএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।