রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব উদ্বোধন

দ্বারা Update Satkhira
০ মন্তব্য 318 দর্শন

 

সাইবার অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণসহ ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহ করে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব যাত্রা শুরু করেছে। আরএমপির কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ল্যাবের উদ্বোধন করেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহযোগিতায় ল্যাবটি আরএমপির নির্মাণাধীন সদর দফতরে (সিঅ্যান্ডবি মোড়) সাইবার ক্রাইম ইউনিট ভবনে স্থাপন করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ল্যাব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘বর্তমান টেকনোলজি-নির্ভর যুগে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নিত্য-নতুন অপরাধ সংঘঠিত করছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি তদন্তে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট নিয়মিত সহযোগিতা করছে। আরএমপি ডিজিটাল ডিভাইস ও সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ এবং অপরাধীদের শনাক্তসহ আলামতের সত্যতা নিরুপণে সিআইডি ও পিবিআইয়ের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের সহায়তা নিতো। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাসিসট্যান্সের (এটিএ) সহযোগিতায় আরএমপিতে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও ফরেনসিক সফটওয়্যার সংবলিত অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকে আরএমপিতেই এই কাজগুলো করা হবে। এর ফলে অপরাধ শনাক্ত করা সহজ হবে এবং কম সময়ে অধিক মামলা নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

সাইবার ক্রাইমের ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী পিপিএম বলেন, ‘এই ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার ও ডিজিটাল স্টোরেজ মিডিয়া থেকে গোপনীয় ডেটা উদ্ধার এবং বিশ্লেষণ করা যাবে। থাম্ব ড্রাইভ, ইন্টারনেট, ল্যাপটপ এবং অন্য পদ্ধতিগুলোর মতো বৈদ্যুতিক ডিভাইস দিয়ে তথ্য এবং অন্যান্য মূল্যবান ডেটা সংরক্ষণ বা স্থানান্তর করা যাবে। অপরাধ ঢাকতে বা আলামত গায়েব করতে মুছে ফেলা তথ্য, সোআপ ফাইল, মেমরি ডাম্প, হার্ড ড্রাইভে ফাঁকা ফোল্ডার, প্রিন্ট স্পুলার ফাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা করবে আরএমপির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব। মোবাইল ফরেনসিকের মধ্যে রয়েছে অপরাধ কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও যেকোনও ডিভাইস। ফরেনসিকের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, ট্যাব, জিপিএস, ডিভাইস, ড্রোন ইত্যাদি থেকে ডেটা উদ্ধার ও বিশ্লেষণ করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব ডেটা উদ্ধার ও বিশ্লেষণ করা যাবে তার মধ্যে রয়েছে– এসএমএস এবং এমএমএস বা এ-জাতীয় মুছে ফেলা ডেটা, কল লগ ও যোগাযোগের তালিকা; ফোন আইএমইআই ও ইএসএন সম্পর্কিত তথ্য; ওয়েব ব্রাউজিং; ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সেটিংস; জিওলোকেশন তথ্য; ই-মেইল এবং ইন্টারনেট মিডিয়া ও ফর্ম; সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিষেবা; পোস্টসহ বিভিন্ন ডার্ক ও ডিপ ওয়েব সাইটের হোয়াইট কলার ক্রিমিনালদের অপরাধের আলামত। এই ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের মাধ্যমে অ্যাপ ডেটা, মেসেঞ্জার ডেটা ও ক্লাউড ড্রাইভে সংরক্ষিত ডেটা বিশ্লেষণ করে সব অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হবে।’





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন