জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের সংগ্রামী, আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ‘৬৯-র গণঅভ্যুত্থান’ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ছায়ানটের সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে থিয়েটার আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমসারির সংগঠক ছিলেন।
বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকিকে বিয়ে করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ২৬ বছর বয়সে তারুণ্যে উদ্দিপ্ত শেখ কামাল পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নৃশংসভাবে নিহত হন। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি ঢাকা রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক : মো: হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার,ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল,ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ।