সুন্দরবনের কোলঘেঁষা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে সাতক্ষীরা দেশের প্রান্তিক শহর। সেই শহরের কৃষাণী কন্যা শিরিন আক্তার দেশের এ যুগের সোনার মেয়ে। উড়ন্ত বাঘিনী শিরিন আক্তার।

পল্লীর দূর প্রান্তে পলিমাটিতে বেড়ে উঠা শিরিনের শিশুকাল আর কৈশোর আর দশটা মেয়ের মতো আটপৌরে ছিল। দুরন্ত কিশোরী চাইতেন দুরন্ত গতিতে প্রজাপতি হয়ে উড়তে। দুষ্টুমির জন্য কতদিন মায়ের বকুনি এবং মৃদু মার খেতে হয়েছে। শৈশব থেকেই খেলাধুলা বিশেষ করে খাটো পাল্লার দৌড় মনে ছুঁতে চলাই যার নেশা এবং সেটাও সবার আগে বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো সাফল্য তার পায়ে লুটবে সেটাই বিধির বিধান। কৃষাণ বাবা আর গর্ভধারিণী মা আজ গর্বিত তাদের চার চারটি মেয়ে স্কুল কলেজ আঙ্গিনা পেরিয়ে যশোরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।

আর শিরিন তো জেলা, বিভাগ, পেরিয়ে এক দশকের সময় জুড়ে দেশের দ্রæততম মানবী। এবার সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দ্রæততম মানবী অলিম্পিয়ান খেলোয়াড় শিরিন আক্তারকে নগদ অর্থ, বিভিন্ন উপহার ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে এ উপহার ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) সাতক্ষীরার অলিম্পিয়ান খেলোয়াড় শিরিন আক্তারের হাতে এসব উপহার তুলে দেন।এসময় সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ ও প্রশাসন) মো: সজিব খান,হেড কোয়াটার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, ডিএসবির সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ও বিশেষ শাখার ডিআই-১ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন