সিএমএস ফান্ডের বোর্ড অব গভর্নেন্স গঠন – চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 215 দর্শন

 

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ নিয়ে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ বা সিএমএস গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই ফান্ডের জন্য ১০ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নেন্স গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রবিবার বিএসইসির উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সিএমএস ফান্ডের বোর্ড অব গভর্নেন্সের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে। এছাড়া বাকি নয় সদস্য হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিল দীপ্তি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) স্বতন্ত্র পরিচালক এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, দি ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়া এই ফান্ড ব্যবস্থাপনার জন্য একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) পদে একজনকে মনোনয় দেবে বিএসইসি। যিনি হবেন একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা।

এর আগে গত ৭ জুলাই বিএসইসির ৭৮১তম নিয়মিত কমিশন সভায় সিএমএস ফান্ডের বোর্ড অব গভর্নেন্সের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, এই তহবিলের আকার হবে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। আর বোনাস স্টক লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিলটি পরিচালনা করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

এর আগে তহবিলটি পরিচালনার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’। এই বিধানের গেজেট ২৭ জুন প্রকাশ করা হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন