ইয়াবাসহ মাদক নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার নগরীর হালিশহর জেলা পুলিশ লাইন্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ১১ জেলার এসপিদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় ডিআইজি বলেন, ইয়াবা একটি সর্বানাশা মাদক। চট্টগ্রাম রেঞ্জে মাদক একটা বড় সমস্যা। তবে পুলিশের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে কক্সবাজার হয়ে ইয়াবা এখন তেমন একটা আসছে না। অন্যান্য সীমান্ত এলাকা ইয়াবা ছড়িয়ে গেছে। তাই সীমান্ত এলাকার এসপিদের সতর্ক থাকতে হবে।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে- ইয়াবা এখন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন বর্ডার এলাকা দিয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে জয়লাভ করেছি, মাদকের বিরুদ্ধেও আমরা জয়লাভ করতে পারবো।
এদিকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের এই অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।আর অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় সন্মাননা পেয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম। অপর দিকে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা এবং শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হয়েছেন চট্টগ্রাম সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, পরোয়ানা তামিলসহ সার্বিক বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হন নুরেআলম মিনা।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আরও চারজন সদস্য পুরস্কার পেয়েছেন। এতে শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে রাউজান এবং শ্রেষ্ঠ ওসি হয়েছেন একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ, শ্রেষ্ঠ মামলাতদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. আব্দুল মজিদ ও ফটিকছড়ি থানার এসআই আরিফুল আলম অপু, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তা হয়েছেন চন্দনাইশ থানার এসআই মো. মজিবুর রহমান।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনার সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অভিযান ও অপরাধ) মোহাম্মদ আবুল ফয়েজসহ চট্টগ্রাম রেঞ্জের আওতাধীন জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।