সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগে আর ৭ দিন সময় দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই সময়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি।সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন আইন প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এর অধীনে মামলা হবে না। আইনটি গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ওইদিনই আইন প্রয়োগে সাতদিন সময় দিয়েছিলেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ওই সময়সীমা শেষ হয়েছে।
এদিন মন্ত্রী আইন প্রয়োগে আরও সাতদিন সময় বাড়িয়ে দিলেন।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথমে সাতদিন সময় দিয়েছিলাম। আরও সাতদিন বাড়িয়ে দিচ্ছি। এ সময়ে ব্যাপক প্রচারণার কর্মসূচি নিতে হবে। তিনি বলেন, বিধিমালা প্রণয়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটির কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।আইন প্রণয়নের এক বছরের বেশি সময় পার হলেও বিধিমালা প্রণয়নের ব্যর্থতা কার- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি ছয় মাস অসুস্থ ছিলাম। আইন পাসের পর পরিবহন শ্রমিকরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে রাস্তায় জনদুর্ভোগ হয়। আমরা যাব কোথায়। তবুও আস্তে আস্তে আইনটি সহনীয় হবে। তিনি বলেন, বিআরটিএর দায়িত্বে যারা ছিল সেখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে, জনবলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম কয়েকদিন শাস্তি না দিয়ে সতর্ক করছি। সবাইকে আইন সম্পর্কে, শাস্তি সম্পর্কে, সড়কে শৃঙ্খলা আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে।ঢাকার সড়কে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ ডিটিসিএর। আমরা নগরের শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সিটি কর্পোরেশন কাজও শুরু করেছিল। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এ কাজে ধীরগতি আসে। আমি শিগগিরই আবারও ডিটিসিএর বৈঠক করব।
বিআরটিএ’র কার্যক্রম সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে বাধা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এ সব অতিক্রম করতে দরকার সততা, সাহস ও কমিটমেন্ট। স্টেকহোল্ডারদের মানিয়ে আইন কার্যকর করতে হবে। আবার অন্যায় আবদার গ্রহণ করা যাবে না। সৎ থাকা মানে দুর্ব্যবহার নয়, সবাইকে বুঝিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের বাস্তবায়নে বাধা থাকবে। কারণ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা আছে। শাস্তির ভয় না থাকলে শৃঙ্খলা আসবে না। এখন লাইসেন্স নবায়নের হিড়িক পড়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে বিআরটিএকে।তিনি বলেন, বিআরটিএর মিরপুর, ইকুরিয়া ও চট্টগ্রামে দালালের বদনাম আছে। কুমিল্লা, সিলেটসহ অন্য অফিসেও আছে। কর্মকর্তাদের যোগসাজশ না থাকলে দালাল ঢুকতে পারে না। শর্সের ভেতরে ভূত আছে। অপকর্মকারীদের বদলি করেও অনেকে সৎ পথে আসেনি। তাই এখন মনে হয় এদের বাদ দিতে হবে। কোনো তদবির প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
সূত্র: প্রথম আলো নেট।