সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দিতে গিয়ে যাতে ভুল তথ্য পরিবেশিত না হয়, সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্মরণে ‘স্বপ্নের সারথি শাহ আলমগীর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণমাধ্যম প্রসঙ্গে মন্ত্রী একথা বলেন।
অনলাইন গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে এখন সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা। সেটি করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক সময় সংবাদের গুণগতমান নষ্ট হয়। বিশেষ করে অনলাইনগুলোর ক্ষেত্রে সেটি হয়। অনলাইনগুলোকে সবার আগেই সংবাদটা পরিবেশন করতে হয়। কার আগে কে দিল সেটি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা আছে। এটি করতে গিয়ে দেখা যায় যে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ অনেক সময় হয় না। অনেক সময় ভুল সংবাদ হয়, অসত্য সংবাদ হয়।’
শিগগিরই অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, অনলাইনগুলোকে আমরা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি দরখাস্ত পড়েছে। আইটিটিভি, অনলাইন টিভিগুলোকেও আমরা রেজিস্ট্রেশনের আওতা আনার উদ্যোগ নিয়েছি সেখানেও পাঁচশ’ মতো আবেদন এসেছে। আমরা অনেক আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, অনলাইনগুলোর বিষয়ে কিছু সংখ্যকের তদন্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা পেয়েছি। একটি সংস্থা থেকে এক হাজারের বেশি পেয়েছি আরেকটি সংস্থা থেকে একশ’র কম পেয়েছি। শুধুমাত্র একটি সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া যায় না, আরেকটু অপেক্ষা করছি। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোকে প্রথম ধাপেই দিতে চাই। সেজন্য তাদের রিপোর্টটাও যাতে আসে সেজন্য অপেক্ষা করছি। খুব সহসা আমরা ১৭ মার্চের পরে থেকে আমরা দেওয়ার চেষ্টা করবো, নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, চেষ্টা করবো। রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসলে তখন এখানে অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা, যেটা ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) থেকে দেওয়া হয়, সেটিও একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসা প্রয়োজন, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই’ বলেন মন্ত্রী।