চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খননে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন সরকার; নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ!!

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 804 দর্শন

 

সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি): নৌ-পরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক বলেছেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। খুব শীঘ্রই একনেকের সভায় তা উপস্থাপন করা হবে। তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে শেরপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় আয়োজিত উন্নয়ন মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই তথ্য জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় যমুনার মুখ জামালপুরের বাহাদুরাবাদ থেকে ভৈরব পর্যন্ত প্রায় ২শ ২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ওই নদ খননের আওতায় থাকবে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণাসহ পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলা।
নৌ-পরিবহন সচিব বলেন, নদী খননের মাধ্যমে উত্তোলিত মাটি রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা হবে। আর ওই নদ খননের মাধ্যমে নদী যোগাযোগ ব্যবস্থা সচলকরণসহ এলাকায় এলাকায় গড়ে তোলা হবে জলাধার। চৈত্র মাসে নদের পানি শুকিয়ে গেলে সেই জলাধারে আহরিত পানি থেকে এলাকার কৃষকরা সেচ সুবিধা ভোগ করবেন। অন্যদিকে নদী যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হওয়ায় সমুদ্র ট্যুরের মতো বৃদ্ধি পাবে নৌ-ট্যুর। উৎসাহিত হবেন পর্যটকরা। তিনি আরও জানান, পর্যটকদের এখন বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে গারো পাহাড়, সমুদ্র ও নদী ট্যুর। এজন্য সীমান্ত সড়কের পরিধি বাড়িয়ে তামাবিল, জাফলং হয়ে সিলেট-রৌমারী পর্যন্ত সীমান্ত সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে শেরপুর সীমান্তের গজনী, মধুটিলা ও জামালপুর সীমান্তের লাউচাপড়াসহ গারো পাহাড় অঞ্চলের প্রতি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে। একইসাথে নাকুগাঁও স্থলবন্দরকে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করতে বাংলা-ভুটান-কাঠমান্ডু পর্যন্ত সরাসরি সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও কাজ চলছে। এছাড়া শেরপুরে ও জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়েছে বলেও জানান তিনি।
নৌ-পরিবহন সচিব শেরপুরে ৪র্থ উন্নয়ন মেলায় সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-সাফল্য বিস্তৃতভাবে উপস্থাপন ও প্রদর্শনের জন্য জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি জেলা পর্যায়ে উন্নয়ন-সাফল্যের পাশাপাশি সমস্যামূলক খবরগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরতে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবেব সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছারওয়ার জাহান, খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন, পল্লী বিদ্যুতের জিএম মাশরুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাহিদুল ইসলাম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোঃ মাছুদ, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তাহলিমা জান্নাত, সাংস্কৃতিক কর্মী শিব শংকর কারুয়া শিবু, সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু প্রমুখ। ওইসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জন কেনেডি জাম্বিল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবিএম এহছানুল মামুনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন