গোপালগঞ্জের তিনটি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পেয়েছেন ৯৯.৭৪ শতাংশ ভোট। গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম পেয়েছেন ৯৯.৩৫ শতাংশ ভোট এবং গোপালগঞ্জ-১ আসনে দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান ৯৯.৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এসব আসনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন খুবই নগন্য ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কাছে অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বে-সরকারীভাবে জয়লাভ করেছেন। তিনি এবার নিয়ে মোট ৭ বার এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এস এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মোঃ মারুফ শেখ পেয়েছেন মাত্র ৭১ ভোট।

গোপালগঞ্জ-২ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম আবারো বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনি এবার নিয়ে এ আসন থেকে ৮ বার এমপি নির্বাচিত হলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৯০৯ ভোট। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী তসলিম সিকদার ৬০৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আর এ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ পেয়েছেন মাত্র ২৮৬ ভোট।

এছাড়া গোপালগঞ্জ-১ আসনে সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খানও বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এবারের বিজয় নিয়ে তিনি ৫ম বারের মতো এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে পেয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ১৬২ ভোট। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান ৭০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আর ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর পেয়েছেন মাত্র ৫৭ ভোট।

গোপালগঞ্জ জেলা যে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এটা আবারো প্রমান করলেন গোপালগঞ্জবাসী। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার তার সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বে-সরকারী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন