সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ রোধে শক্ত অবস্থানে পুলিশ প্রশাসন। যারা সাতক্ষীরার বাহিরে থেকে কিংবা সাতক্ষীরা থেকে বাহিরের জেলায় গিয়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকুরি করেন, তাদের যাতায়াত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তাদেরকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় কোন চেকপোস্ট ও পুলিশি টহলে পড়লে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণাও দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। জেলার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোষ্টসহ কড়া নজরদারী।


ইতিমধ্যে আজ সোমবার সকালে তালা উপজেলার সুভাষিনী এলাকায় জেলার প্রবেশদ্বারের পুলিশি চেকপোষ্ট পরিদর্শন কালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর সামনে পড়ে যান          সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান। তিনি এসময় খুলনা থেকে সাতক্ষীরা আসছিলেন।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তারা প্রতিদিন খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় কর্মস্থলে আসেন। পরে তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি অবহিত করে তাদেরকে দ্রুত খুলনায় ফেরত পাঠানো হয়। অপর একজন স্বাস্থ্য কর্মী শ্যামনগর থেকে তার কর্মস্থল রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তাকেও একইভাবে ফেরত পাঠানো হয়। একই সাথে তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকারসহ করেয়কটি মোটরযানের নামে মামলা দেয়া হয়।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা সিভিল সার্জনকে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েকজন খুলনা এবং সাতক্ষীরায় কাজ করে থাকেন। তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করলেও স্ব স্ব কর্মস্থলের বাহিরে আসতে পারবেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বলাও হয়েছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সবাইকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন