জীবনের ঝুকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডা: জাকির হোসেন

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 832 দর্শন

 

করোনা ভাইরাসের ভয়াল ছোবল থেকে মানুষকে বাঁচাতে যেন সুপারম্যানের মতন লড়াই করে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। সঙ্গে থাকছে নার্স/সেবক ও চিকিৎসা কর্মীরাও। করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তাররা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। যখন অদৃশ্য একটি শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে সারা বিশ্বের মানুষ, তখন ডা. জাকির হোসেনের মত যোদ্ধারা জীবনের ঝুকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে বাঁচিয়ে যাচ্ছেন শিশুর প্রাণ।

করোনা প্রাদুর্ভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে জেলার স্বাস্থ্যসেবা। করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্থ সমগ্র পৃথিবী। বর্তমান সময়ে শিশুরা সর্দি, কাশি, জর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা না থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। করোনার প্রভাবে শিশুদের ঘরের বাইরে বের করতেও ভীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হচ্ছে অভিভাবকরা। এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে শিশু হাসপাতালে মানবতার সেবায় নিয়মিত রোগি দেখছেন ডা. এসএম জাকির হোসেন।

নবজাতক শিশুকে দেখাতে আসা সাংবাদিক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে দেখাতে এসে কোন বিড়ম্বনা বা হয়রানীর স্বিকার হতে হয়নি। অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. জাকির হোসেন। জনগণকে সেবা দিতে তিনি যেভাবে কাজ করছেন তা প্রশংসনীয়। করোনা আতংকে বিভিন্ন হাসপাতালগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চাকে কোথায়, কোন ডাক্তারকে দেখাবো সেটা নিয়েও চিন্তিত! অনেক হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ডাক্তারদেরকে সেভাবে পাচ্ছে না নাগরিকরা। কেউ কেউ ঘরোয়া পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোন কিছু উপেক্ষা না করে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে শিশুদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাতক্ষীরার কৃর্তি সন্তান ডা. এসএম জাকির হোসেন।

ডা. জাকির হোসেন বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই আমার কাজ, আমি চাইলে নিজে ঘরে বন্দি থাকতে পারতাম, তবুও প্রতিনিয়ত বের হচ্ছি, রোগি দেখছি। শিশুরা সুস্থ থাকলেই আমি সুস্থ থাকি। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, এজন্য শিশুরাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা আজ পুরো বিশে^র এক আতংকের নাম। আপনাদের সবার সহযোগিতা সর্বদা প্রয়োজন। আপনারা কেউ বিনাকারনে ঘর থেকে বের হবেন না। ঘরে থাকুন এবং সচেতনতার সাথে থাকুন। আশা করি শীঘ্রই আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠবো। শিশু স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনে আমাকে সার্বক্ষনিক ফোন করে পরামর্শ নিতে পারবেন অথবা বিশেষ প্রয়োজনে কর্মস্থলে এসে রোগি সেবা নিন।




০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন