মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা মানতে হবে। এসব নির্দেশনা উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।

মঙ্গলবার সব মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। করোনার বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটি এখন পর্যন্ত কয়েক দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে। তবে ছুটি আরও বাড়ানোর বিষয় নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। যদিও ছুটির মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে অফিস খোলা রাখা যাবে। তবে প্রয়োজনীয় অফিস খোলা রাখতে গিয়ে যেন করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য এই ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

১৩ দফা নির্দেশনা

১. প্রয়োজনীয়সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ ট্যানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।

২. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙিনা/ রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৩. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/ বিভাগে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার/ থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।

৪. অফিসের পরিবহনগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পারিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন পরত (স্তর) বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।

৫. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

৬. যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রাকালীন পথে বার বার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৭. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।

৮. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।

৯. অফিসগুলোতে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

১০. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

১১. করোনা প্রতিরোধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলছে কিনা, তা মনিটর করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১২. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

১৩. কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন