করোনা ঝুঁকি নিয়ে গড়ে ৪০-৫০ জন খেটে খাওয়া মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডা.এবাদুল্লাহ

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 317 দর্শন

 

চম্পা বৌদি, স্বামী হরষিত তাদের এক মাত্র সন্তান সঞ্জিব বয়স মাত্র ২ বৎসর। খাটের উপর থেকে পড়ে গিয়ে ছোট বাচ্চাটির হাতে ব্যাথা লেগেছে।সঞ্জিবের হাতে এত পরিমান ব্যাথা যে কাউকে হাতে টার্চ করতে দিচ্ছিনে। এক মাত্র ছেলের হাতের চিকিৎসা করবেন বলে গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন তারা। সময় এখন বিকাল ৪.৩৩ মিনিট। সদর হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছে তারা। কারন হসপিটালে করোনা থাকতে পারে।

প্রতিবেশি উপকার ভোগীর পরামর্শ মোতাবেক তারা আজ বিকালে গরীবের ডাক্তার এবাদুল্লাহ সাহেবের চেম্বারে এসেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য । ডাক্তার দেখিয়ে ১০ টাকা ফি দিলেন রোগীর বাবা হরষিত। ডাক্তার সাহেব প্রেসক্রিপশনে এক্সরে করে আনতে বল্লেন।ডাক্তার সাহেবের এক্সরের পরামর্শ পেয়ে হরষিত বাবু রীতিমত ঘাবড়ে গিয়ে বল্লেন স্যার এক্সরে করতে কত খরচ লাগবে? ডাক্তার সাহেব বল্লেন কত আর লাগতে পারে ১০০-১৫০  টাকা লাগলে পারে। তখন হরষিত বাবু একটু দীর্ষ নিঃশ্বাস ফেলে ডাক্তার সাহেব কে বল্লেন স্যার আমাদের বাড়ি খানপুর। মাত্র ৬৮০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি তাড়াহুড়ো করে।গুছিয়ে আসতে পারিনি স্যার!!

ভালোকথা এক্সরে রিপোর্ট আসলো রিপোর্টে হাড়ে একটু ফ্রাকচার দেখতে পান অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ এবাদুল্লাহ।এসময় তিনি তাঁর কম্পাউন্ডার দের কে ডেকে বলেন বাচ্চাটার হাত প্লাস্টার করে দেও। তখন হরষিত বাবুর আরো বুক ধরবড় করতে লাগলো। হরষিত বাবু  ডাক্তার সাহেব কে বল্লেন স্যার প্লাস্টারে খরচ কত? এসময় ডাক্তার সাহেব তাকে ঠান্ডা হয়ে বসতে বল্লেন।হরষিত বাবু হিসাব করে দেখলেন  এক্সরে ও প্লাস্টার করে এবং ডাক্তারের ১০ টাকা ফি দিয়ে হরষিত বাবুর খরচ হয় ৪৫০ টাকা।এসময় ডাক্তার সাহেব হরষিত বাবু কে বলেন ৬৮০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা খরচ হলে আর কত টাকা থাকে?  হরষিত বাবু হিসাব করে বলেন স্যার ২৩০ টাকা থাকে স্যার। অতপর ডাক্তার সাহেব হরষিত বাবুর ছেলের ঔষধ লিখে দিয়ে বলেন বাকি ২৩০ টাকা দিয়ে ঔষধ কিনে সোজা বাড়ি চলে যাও । আবার ২১ দিন পরে এসে প্লাস্টার খুলে নিও। হরষিত বাবু এসময় এত কম খরচে ছেলের হাত ভাঙার চিকিৎসা সেবা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন এতদিন টিভিতে দেখেছি, পত্রিকায় পড়েছি সাতক্ষীরায় দশ টাকার ডাক্তার আছে গরীবের ডাক্তার। আজ বাস্তবে তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নিলাম।

খোজ নিয়ে জানা যায় হরষিত বাবুর পরিবারের মত দীর্ঘ ৪০ বৎসর যাবৎ প্রতিদিন ৪০-৫০ জন গরীব অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার কৃতি সন্তান সাতক্ষীরা বিএমএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো.এবাদুল্লাহ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন