আশাশুনি ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা.আনোয়ার হোসেন হাওলাদার

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 184 দর্শন

 

আব্দুস সামাদ বাচ্চু : আশাশুনির শ্রীউলা-প্রতাপনগরের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। শুক্রবার সকালে তিনি শ্রীউলার হাজরাখালী, প্রতাপনগরের কোলা, হরিশখালী ও চাকলা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- সেনাবাহিনীর টেঁকসই বাঁধ নির্মান করতে গেলে অনুকুল পরিবেশ প্রয়োজন। তাই দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি কমাতে বিকল্প বাঁধ নির্মান করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত মানষের খাবার, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। অল্প কাঠে যাতে রান্না করতে পারেন সেজন্য বন্ধুচুলা সরবরাহের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন- আবহাওয়ার বিরুপ পরিস্থিতির কারনে এবং সামনের গোণের ভয়াবহতা বিবেচনা করে বিকল্প রিং বাঁধের জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে দ্রুত কাজ শুরু করবে। মূল বাঁধ নির্মান না হওয়া পর্যন্ত অতি গুরুত্বের সাথে আমরা আপনাদের সমস্যা গুলি দেখে যাব।
বিকল্প বাঁধের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী সুধাংশু সরকার বলেন- স্থানীয় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের সাথে কথা বলে অস্থায়ী রিং বাঁধের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। খুব দ্রুত আমরা কাজ শুরু করব।


শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরা রবিবার থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কি.মি. রিং বাঁধের কাজ শুরু করব। এটা হবে হাজরাখালী এলজিইডি থেকে মাড়িয়ালা মোড় ঘুরে কোলা-ঘোলা বাসষ্ট্যাণ্ড পর্যন্ত। এতে আমার ইউনিয়নের হাজরাখালী, কলিমাখালী (আংশিক), মাড়িয়ালা (আংশিক) ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়ার একটি অংশ বাইরে থাকবে। এই বাঁধটি সম্পন্ন হলে শ্রীউলার প্রায় ২০টি এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ১৪ গ্রামের ওঠা-নামা বন্ধ হয়ে জনভোগান্তি কমবে।
এদিন বিভাগীয় কমিশনার ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক মানুষের হাতে ত্রানের প্যাকেজ তুলে দেন এবং নদী পথে প্রতাপনগরের চাকলা, হরিশখালী ও কোলাঘোলা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবীর, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন প্রমুখ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন