বিজিবি একদিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা লাভ করবে : প্রধানমন্ত্রী

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 172 দর্শন

 

অত্যাধুনিক দুটি হেলিকপ্টার সংযোজনের মধ্য দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এয়ার উইংয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। রাশিয়া থেকে কেনা দুটি হেলিকপ্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাহিনীটির সীমান্তে নজরদারির সক্ষমতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার দুটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পিলখানায় বিজিবির সদরদপ্তরে। বিজিবির দুজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়।

বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি এখন অন্যান্য বাহিনীর মতো ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত হয়েছে। দুটি হেলিকপ্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে আমি আজ বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করছি। আজকে থেকে বিজিবি ত্রিমাত্রিক বাহিনী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজিবিতে হেলিকপ্টার সংযোজনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ। বিজিবি এয়ার উইংয়ের এই যাত্রা বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সবসময় দেশপ্রেম, সততা ও ঈমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। একদিন এ বাহিনী বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা লাভ করবে-এ আমার আশা।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘একুশ শতকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়তে চায়। এজন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ এর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের মে মাসে বিজিবি এয়ার উইংয়ের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিজিবি রুশ প্রজাতন্ত্র থেকে দুটি অত্যাধুনিক এমআই-১৭১-ই হেলিকপ্টার কিনে। আজ থেকে বিজিবি দেশ মাতৃকার সীমান্ত এবং সার্বভৌম রক্ষার পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব পালনে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্গম পার্বত্য এলাকার সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের সবধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম, রসদ সরবরাহ ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় এই হেলিকপ্টার দুটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। পর্যায়ক্রমে আরও সরঞ্জামাদি কেনা হবে।’

সক্ষমতার দিক দিয়ে এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। একসঙ্গে মোট ২৬ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা তিন হাজার কেজি, রোগী পরিবহন ক্ষমতা ১২ জন। অত্যাধুনিক অটোপাইলট সিস্টেমে পরিচালিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হেলিকপ্টারটি।

এছাড়া আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকলের (আরসিভি) সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যাত্রী পরিবহন করতে পারে ১২ জন, জ্বালানি ট্যাংক ২৫৭ লিটার, রয়েছে ব্যালাস্টিক প্রোটেকশন, ব্লাস্ট প্রোটেকশন। গ্রেডিয়েন্ট ৬০ শতাংশ, ফোর হুইল ড্রাইভ। রয়েছে নাইট ভিশন হাইস্পিড ক্যামেরাও।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবি সদরদপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামসহ বাহিনীটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন