দ্বারা Update Satkhira
০ মন্তব্য 497 দর্শন

 

ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে তামাক বিরোধী সেমিনার আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ধুমপান ও তামাক ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ এখন সচেতন। ফলে দেশে তামাকের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে এসেছে। কিশোর, তরুণসহ সকলকে তামাকের কুফল সম্পর্কে জানাতে শিক্ষক, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে ধুমপান মাদকের প্রবেশদ্বার। তামাকের ব্যবহার বন্ধে মানসিকতার পরিবর্তন ও জনসচেতনতা অতি প্রয়োজন।

সেমিনারে জানানো হয়, ২০১৭ সালের হিসেব মতে দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক সেবন করে। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধুমপানের শিকার ৪২ শতাংশ ও গণপরিবহণে পরোক্ষ ধুমপানের শিকার ২৩ শতাংশ মানুষ। তামাকের ব্যবহারজনিত রোগে বাৎসরিক জাতীয় চিকিৎসা ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি (অনলাইনে) ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক মোঃ মনজুরুল মুরশিদ ও খুলনা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ খসরুল আলম মল্লিক। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কারিগরী উপদেষ্টা সৈয়দ মাহবুবুল আলম। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেলের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে খুলনার বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন