রুমায় ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা: আইজিপি

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 151 দর্শন

 

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির ঘটনার পর বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আইজিপি।তিনি ব্যাংকের পাশাপাশি পাশের মসজিদও পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশপ্রধান বলেন, “বান্দরবানে এসেছি, কাল রাতে জঘন্য  যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কী হয়েছে তা জানার জন্য এসেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, আমাদের লোকজনের উপর আক্রমণ হয়েছে, মসজিদে তারা আক্রমণ করেছে, আনসার ক্যাম্পে তারা আক্রমণ করেছে, পরবর্তীতে অস্ত্র নিয়ে গেছে।আনসার, পুলিশের অস্ত্র নিয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে নিয়ে গেছে। আমরা দেখছি, অস্ত্রগুলো কোথায় আছে খুঁজে দেখবো এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত এদের বিরুদ্ধে যথাযথ কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আইজিপি যখন রুমা পরিদর্শনে ছিলেন তখন ভরদুপুরে থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা একটু আগেই বিষয়টি শুনেছি। আমরা সতর্ক ছিলাম বলেই তারা এসে পালিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।”
প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ-প্রধান বলেন, “যারা দৃষ্কৃতকারী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “পুলিশের সক্ষমতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটা সময় তথাকথিত সোর্স নির্ভর তদন্ত হত। এখন আর আমরা সোর্স নির্ভর তদন্ত করি না। কারণ আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একসময় এদেশে জঙ্গিবাদের হোলি খেলা চলেছে। সন্ত্রাসীদের দাপট ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাধারণ মানুষ, একজন স্কুল শিক্ষক সেখানে বাসবাস করতে পারতেন না। তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালু হয়েছে। সারাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের যে নীতি, সেই নীতির আলোকে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি অর্জন করেছি”, বলেন পুলিশ-প্রধান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন