♦♦♦♦
যশোরের চৌগাছায় সাথী খাতুন নামের এক গৃহবধূর ‘লাশ’ উদ্ধার ও এর ১১ দিন পর তাকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পরকীয়া করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে থাকা এই গৃহবধূকে রোববার ভোরের দিকে সদর উপজেলার ইছালি এলাকার জলকর গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সাথী খাতুন চৌগাছার নয়ড়া গ্রামের আমজেদ আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। তাদের এহসান নামে ছয় বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী সন্তান সংসার ফেলে গত ১৪ জুলাই তিনি প্রেমিক চাঁদপাড়া গ্রামের (স্বামীর প্রতিবেশী) মান্নুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে জলকর গ্রামে অবস্থান করছিলেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, গত ১৪ জুলাই সাথী খাতুন বাইরে কাজে যাচ্ছেন বিকেলে ফিরবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান ছিল না।
এদিকে, গত ২৯ আগস্ট রাতে যশোরে সরকারি সিটি কলেজ এলাকা থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৩০ আগস্ট আমজেদ আলী লাশটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করতে থাকে। এরই মধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে সাথী হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি। তিনি জীবিত আছেন এবং প্রেমিক মান্নুর ধর্মপিতা সদর উপজেলার ইছালি এলাকার জলকার গ্রামে মিজানুর রহমানের বাড়িতে অবস্থা করছেন।
এসআই আমিরুজ্জামান আরো জানান, সাথীকে উদ্ধারে রোববার ভোররাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে সে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে।
সাথী পুলিশকে জানিয়েছে, পুলিশ ও এলাকাবাসীর চোখ ফাঁকি দিতে এই হত্যার নাটক সাজানো হয়।
এদিকে, পলিথিনে মোড়ানো গলাকাটা লাশটি তাহলে কোন তরুণীর সেটি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা পলিথিনে মোড়ানো লাশের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
সূত্রঃ খুলনার কন্ঠ ডটকম।