সুরের মুর্ছনায় সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী জাতীয় নজরুল সম্মেলন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বুধবার সকাল থেকে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে। চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এ উপলক্ষ্যে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বর থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।
সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন, নজরুল গবেষক জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব এএফএম হায়াতুল্লাহ, নজরুল ইন্সিটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবদুর রাজ্জাক ভুঞা, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায়, নজরুল ইন্সটিটিউটের সচিব মো. আবদুর রহিম, প্রফেসর কাজী মো. অলিউল্লাহ,খুলনা বেতারের কন্ঠ শিল্পী ও লিনেট ফাইন আর্ট্স একাডেমীর পরিচালক আবু আফনান রোজ বাবু ও প্রফেসর আশুতোষ সরকার প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সম্মেলন ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা নজরুলকে সাম্যবাদী হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন নজরুলের ‘চল চল চল উর্ধ গগনে বাজে মাদল নিম্মে উতলা ধরনী তল, চলরে চলরে চল’ কবিতা আমাদের ব্রিটিশ বিদ্রোহ মানসকে শাণিত করেছে। তার ধুমকেতু পত্রিকায় নজরুল প্রথমেই স্বাধীনতার দাবি তোলেন উল্লেখ করে তারা আরও বলেন ভারতবর্ষের এক ইঞ্চি জমিও ব্রিটিশরা দখলে রাখতে পারবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছিলেন তিনি। নজরুল ‘আনন্দময়ী মায়ের আগমনী’ লিখে অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ১৯১৯ সালে নবযুগ পত্রিকা এবং পরে ১৯২২ সালে ধুমকেতু সম্পাদনা করেন। তিনি ছিলেন প্রেমের কবি, তিনি ছিলেন বিদ্রাহী কবি । নজরুল নিজেই ছিলেন নিজের শিক্ষক। নজরুল আমাদের প্রেরণা। নজরুল আমাদের পথপ্রদর্শক। নজরুলকে আমাদের হৃদয়ে অনুভূতিতে আনতে হবে । তার আদর্শকে আমাদের অনুসরন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন