সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):পুলিশের ভালো কাজগুলো সাধারনত জনগনের চোখে পড়েনা। অনেকের ধারনা পুলিশ বলতেই ঘুষখোর, ধান্ধাবাজ ,পুলিশ বলতেই সরকারী মাস্তান আরো কত কি উপ মা আছে মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু পুলিশ যে ভালো কাজ গুলো করে সেটা খুব বেশি একটা প্রচার করা হয়না এক অদৃশ্য কারনে।এবার পুলিশের একটা মহৎ কাজ চোখে পড়লো নড়াইল জেলাতে।সূত্র জানায়,
নড়াইলে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলকালে গত ১৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে নড়াইলের সদর উপজেলার দলিজিৎপুর গ্রামে পরিত্যক্ত একটি ঘরে একটি ব্যাগের ভেতরে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি ল্যাপটপ, ২টি পাসপোর্ট ও দুইটি জাতীয় পরিচয় পত্র খুঁজে পায় নড়াইল জেলা পুলিশ।পরে উক্ত দ্রব্যসামগ্রীর মালিককে না পেয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করেন নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান।
নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ সুত্র জানায়, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম সরকারী কাজে নড়াইলের বাইরে অবস্থান করায় পুলিশ সুপারের নিজস্ব কার্যালয়ে নড়াইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান নিজ হাতে ওই দ্রব্যসামগ্রীর প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে তার হাতে হস্তান্তর করেন।
হারিয়ে যাওয়া ব্যাগের দ্রব্যসামগ্রীর প্রকৃত মালিক নড়াইলের সদর উপজেলাধীন দলজিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আইয়ুব সিকদারের স্ত্রী মিসেস ছায়রা বেগম আপডেট সাতক্ষীরা ডটকমের প্রতিবেদক কে জানান, নড়াইল জেলা পুলিশের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা যেমন প্রশাসনিক কাজে নিবেদিত প্রাণ তেমনি সৎ ও বটে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখালেন নড়াইলের কালিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (অতিঃদায়িত্ব সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান।
তিনি আরও বলেন, আমি তো এক পর্যায়ে এ সকল দ্রব্যসামগ্রীর আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু সিনিয়র সার্কেল মেহেদী স্যারের সততার কারণে আমি আমি আমার হারানো সম্পদ ফিরে পেয়েছি।
এ প্রসঙ্গে নড়াইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কালিয়া সার্কেল (সদর সার্কেল, অতিঃদায়িত্বে) মোঃ মেহেদী হাসান সাংবাদিক দের কে বলেন, পুলিশের প্রতি মানুষের যে সকল ভ্রান্ত ধারণাগুলো রয়েছে আমরা শুধু সেগুলো দূরীভূত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আমরা জনগণের সেবক। জনগণের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ন্যায় আচরণেল শিক্ষা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আমাদের দেয়নি। পরবর্তীতে এ ধরনের সততার নজির স্থাপনের সুযোগ পেলে তিনি পিছপা হবেন না বলেও জানান।