সরকারি সেবা জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে সরকার এখন বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার বেলা বারোটার সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সামনে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ভিক্ষা চাইতে আসেন ৬৫ বৎসর বয়সের বৃদ্ধা নাম সুরত আলী। এ সময় দেখা যায় সুরত আলী কে সাথে নিয়ে তার স্ত্রী রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি প্রতিবেদকের চোখে পড়ে। এসময় প্রতিবেদক দেখতে পেলেন সুরত আলীর একটি পায়ে গামছা জড়ানো।প্রতিবেদক তাকে প্রশ্ন করলে সুরত আলী বলেন আনুঃ ১২ বছর আগে ঘেরের মেশিন পায়ে পড়ে আমার দুই পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। চিকিৎসা করে একটি পায়ের পাতার ঘা সেরে গেলেও অপর পায়ের ঘা ইনফেকশান হয়ে গ্যাংগ্রিন ধরে পঁচে যায়। অনেক রকম চিকিৎসা করেও পায়ের ঘা সাড়লো না।প্রতিবেদক উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে সুরত আলী বলেন আমি গরীব মানুষ।আজ ১২ বৎসর ডাক্তার দেখাতে দেখাতে আমার সমস্ত টাকা পয়সা শেষ। এখন আর টাকায় পেরে উঠি না তাই সাতক্ষীরা শহরে এসেছি সাহায্যের জন্য।
পরে প্রতিবেদক ৬৫ বৎসরের বৃদ্ধকে নিয়ে যান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার জনাব দেবাশীষ চৌধুরীর অফিসে।এসময় সদর ইউএনও অসহায় ও অসুস্থ্য সুরত আলী কে দেখে চেয়ার থেকে উঠে আসেন সুরোত আলীর কাছে।কাছে এসে সুরত আলীর দুটি নষ্ট পা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন ইউএনও।পারে দুটির একটি পায়ের পাতা সম্পূর্ণ গ্যাংগ্রিন রোগে নস্ট হয়ে গেছে অপর পায়ে ভর দিয়ে বৃদ্ধ কোন রকম লাঠি নিয়ে চলাফেরা করে।এসময় ইউএনও বৃদ্ধকে প্রশ্ন করেন আপনার কি কি প্রয়োজন এ-ই মুহুর্তে বা কি সাহায্য দিলে আপনি ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।বৃদ্ধ সুরত আলী তখন বলেন, স্যার আমার একটা হুইল চেয়ার প্রয়োজন তাহলে আমি ঐ চেয়ার নিয়ে চলাফেরা করতে পারবো।বৃদ্ধের কথা গুলো শুনে ইউএনও তার স্ত্রী কে বল্লেন, আপনি কাল ই একটা সাহায্যের আবেদন দিয়ে যাবেন। সাথে ২ কপি ছবি, ভোটার আইডি কার্ড ও ইউপি চেয়ারম্যান্যান কতৃর্ক নাগরিক সনদ।
বুধবারে কথা বলার পরে বৃহস্পতিবার সকালে সুরত আলীর স্ত্রী নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন পত্র ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দেন। শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটি গেল রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার, সাতক্ষীরা সদর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য।যে চিঠির স্মারক নং ৭৯২ তাং ১২/০৫/২০১৯ খ্রিঃ । আমরা আশাকরছি অসহায় সুরত আলী খুব দ্রুত একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন।