পুলিশ যেভাবে মানুষের পাশে থাকে, এমনটা অন্য সার্ভিসে খুব কম দেখা যায়। রাত ১২টায় গেলেও থানার ওসিকে পাওয়া যায়, নাহলে অন্য লোকজন পাওয়া যায়- জানালেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন মাঠে কন্সটেবল নিয়োগের (টিআরসি) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকালে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি।
সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার সহিত টি আর সি নিয়োগ এর লক্ষে ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেই পরীক্ষার লিখিত ফলাফল শেষে মোট ১৫৫৭ জন পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিক ভাবে ভাইবা পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়।
এসময় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একমাত্র মেধা যোগ্যতাই হবে কনস্টেবল নিয়োগের মাপকাঠি। সেভাবেই স্বচ্ছ পদ্ধতিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।কোন রকম তদবির বা ঘুষে চাকুরী হবেনা।শুধু মাত্র সরকারি ব্যাংক চালান ১০০ টাকা আর ফর্ম কিনতে হয় ৩ টাকায়, সব মিলিয়ে ১০৩ টাকা খরচ হবে চাকুরী পেতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকে বলে থাকি স্কুলের মাস্টার সৎ মানুষ। এখন সৎ-অসৎ আপেক্ষিক বিষয়। কে সৎ হবে বা অসৎ হবে এটা পারিবারিক শিক্ষা, পারিপার্শ্বিক বিষয় আর আল্লাহ প্রদত্ত বিষয় যে আল্লাহ এটা কার মধ্যে দিয়ে দিবেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিনি জানান, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে ২ লক্ষেরও অধিক সদস্য। এর মধ্য কর্মকর্তা তথা ভাইটাল পদে রয়েছে ১ থেকে ২ হাজার। এই ১/২ হাজার কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা গ্রহনের সুযোগ থাকলেও বাকীদের তা নেই। তাই পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে সৎ ভাবে দেশ ও জনগণের সেবা করাটা অসম্ভব কিছু নয়।তিনি বলেন নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ যদি আর্থিক লেনদেন করেন তাহলে তার নিয়োগ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে সাথে সাথে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ১৫৫৭ জনে এর মধ্যে সাধারণ পুরুষ ১৩১২ জন, সাধারণ নারী ১৬০ জন। পুরুষ মুক্তি কোটা ৪১ জন, নারী মুক্তি কোটা ০৪ জন, পোষ্য কোটা পুরুষ ৩৮, পোষ্য কোটা নারী ০১ জন এবং এতিম ০১ জন। এদের মধ্যে থেকে সর্বমোট ১২৩৮ জন নারী/ পুরুষ নিয়োগ দেয়া হবে।