রাজধানীর কাঠালবাগানের হোটেল ওলিওতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার দুই বছরের মাথায় ওই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।
আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ওই ঘটনায় ১৫ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজমের-প্রধান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন ঘটনাস্থলে আত্মঘাতী বোমায় নিহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হোটেল ওলিওতে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আকরাম হোসেন খান নিলয়, অর্থ সরবরাহকারী তানভীর ইয়াসীন কবির, আবু তুরাব খান, সাদিয়া হোসনা লাকি, হুমায়রা জাকির নাবিলা ও তাজরীন খানম শুভ। বোমা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন আবুল কাশেম ফকির, লুলু সরদার ওরফে শহিদ মিস্ত্রি, তাজুল ইসলাম ছোটন। বোমা প্রস্তুত করেন নাজমুল হাসান মামুন। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ছিলেন সাইফুল ইসলাম (ঘটনার সময় আত্মঘাতী বোমায় নিহত)। এ ঘটনায় আশ্রয়দাতা ও সহায়তাকারী নওমুসলিম আব্দুল্লাহ, কামরুল ইসলাম শাকিল, তারেক মোহাম্মদ আদনান ও আব্দুল্লাহ আয়চান কবিরাজ।
গ্রেপ্তারকৃত ১৪ জন আসামির মধ্যে ১০ জন ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
আসামিদের কৃতকর্মের দায়দায়িত্ব ও প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৬(২)/৭/৮/৯/১০/১১/১২/১২/১৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে সরকারের অনুুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সংগঠনের একাংশ কথিত নব্য জেএমবির সদস্যরা ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের র‌্যালিতে হামলার উদ্দেশ্যে হোটেল ওলিওতে অবস্থান নেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই হোটেল ঘিরে ফেলে। পরে সেখানে পুলিশি অভিযানের আগেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় নব্য জেএমবির সদস্যরা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন