জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সকালে কালো ব্যাজ ধারণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এক শোক র‌্যালি সার্কিট হাউজ থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ র‌্যালিতে অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম পিআইডি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও শোক র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করে। র‌্যালি শেষে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ, পিআইডি চট্টগ্রামের পক্ষে উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. সাঈদ হাসানসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি, স্বাধীন ভূখন্ড ও পতাকা এনে দিয়েছেন। তিনি একদিনে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি। স্বাধীনতা এবং বাঙালির অধিকার আদায়ে আপোষহীনতা তাঁকে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, যতদিন রাষ্ট্র কাঠামো থাকবে, বাঙালি জাতি ও পতাকা থাকবে, ততদিন এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ রাখবে। তাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় বঙ্গবন্ধুকে চির-আবদ্ধ করে রাখবে। বঙ্গবন্ধু “ত্রিকালব্যাপী” উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন হৃদয়ের ভেতর থেকে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নাম হৃদয়ে প্রোথিত রাখতে হবে। না হলে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসে ষড়যন্ত্রকারীরা বিভ্রান্তিকর তথ্যের অনুপ্রবেশ ঘটাবে। নিজে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তরুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সুযোগ করে দিতে হবে। স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রাম সফলের পর বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রাম সফল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেজ্ঞের   ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ । অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন ।
পরে শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন গ্রপে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন