প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অবৈধ ক্যাসিনো বা জুয়ার আসরের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে সাভার সেনানিবাসের মিলিটারি ফার্মে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন দেশের প্রথম ‘মিল্কিং পার্লার’ উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন সেনাপ্রধান।

চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন এটা অত্যন্ত পজেটিভ। দুর্নীতি বা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর যে শক্তিশালী অবস্থান এর মাধ্যমেই তার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তাই এটাকে আমি স্বাগত জানাই। এতে করে অনেক ক্রাইম কমে যাবে।’

আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের সৈনিক ক্লাব কিংবা এই ধরনের দুই একটার বিরুদ্ধে যে নোটিশ হয়েছে, আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাকে এগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেছি। অবশ্যই এগুলোর ব্যাপারে যা করণীয় তা আমরা করব।’

এসময় সেনাপ্রধান আধুনিক মিল্কি পার্লার সম্বন্ধে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুধের গুণগত মান নিয়ে অনেক কথা হয়। এজন্য কোয়ালিটি মেইনটেইন করা অনেক জরুরি। যা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাশ্রয়ী, জীবাণুমুক্ত ও সময় বাঁচিয়ে অটো প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে দুধ দোহন পদ্ধতি চালু করেছেন তারা। এই পদ্ধতি পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যান্য সেনানিবাসগুলোতেও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

আজিজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো এক সময় শুধু সাভারেই ডেইরি ফার্ম ছিল। এখন অনেক জায়গায় হয়েছে। এখন সেনাবাহিনী নিজেদের দুগ্ধ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নৌ ও বিমান বাহিনীর কাছে সরবরাহ করছে।’

‘আমাদের প্রচুর পরিমাণে পাউডার মিল্ক আমদানি করতে হয়। তাই চাহিদার কথা চিন্তা করে সাভার, ঈশ্বরদী ও অপর জায়গায় নিজস্ব পাউডার মিল্ক কারখানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে নিজেদের যোগান পূরণের পাশাপাশি তা বাজারেও সরবরাহ করা যাবে। ইতোমধ্যে যার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এছাড়া অটোমেটিক আধুনিক বুচারি স্থাপনের মাধ্যমে গরুর থেকে হাড়, রক্ত ও উচ্ছিষ্টগুলো জাতে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যায় সেই পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান।

এর আগে সেনাপ্রধান সাভার মিলিটারি ফার্মের নতুন মিল্কি পার্লারের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সেখানে একটি বৃক্ষরোপণ করেন।

এসময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার জেনারেল লে. জেনারেল সামছুল হক, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স মেজর জেনারেল আবু সাঈদ সিদ্দিক এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার এরিয়া) মেজর জেনারেল আকবর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, একটি অত্যাধুনিক মিল্কিং পার্লার জীবাণুমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রতি ১৫ মিনিটে এক সঙ্গে ২০টি গাভীর দুধ দোহনে সম্ভব। এই প্রজেক্টে ব্যয় দুই কোটি ৫৭ লাখ পাঁচ হাজার ৯৫৩ টাকা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন