তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল। বাংলাদেশের সব অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে।’ রবিবার (১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যে প্রবৃদ্ধি বঙ্গবন্ধু হত্যার চার দশকেও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হইনি। চার দশকেরও বেশি সময় পরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে সেই প্রবৃদ্ধি অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। আজ যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তিনি পাকিস্তানকে সুইডেন বানাবেন, তখন বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের টেলিভিশনে আলোচনা হয়। আলোচনায় বলা হয়, “ইমরান খান দয়া করে সুইডেন বানানোর স্বপ্ন দেখাবেন না। আপনি আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করুন।” আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে যখন চার কোটি মানুষ ছিল তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন ১৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে বাস করেন, কিন্তু কোনও খাদ্য ঘাটতি নেই। যে দেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ সবচেয়ে কম সে দেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। এখন দেশের মানুষ খালি পায়ে হাঁটে না। দেশের এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো আমাদেরও ক্ষমতার ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, উপদেষ্টা আব্দুল খালেক, ড. সাইদুর রহমান খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ও বেগম আখতার জাহান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।