করোনা ঠেকাতে  সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিনের অভিযানে ঋশিল্পী এবং 6 টি বাসা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলার প্রথম COVID-19 Positive ( সাতক্ষীরা জেলা হতে নমুনা প্রেরণ বিবেচনায়) সঞ্জয় সরকার, ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল, গোপীনাথপুর, বিনেরপোতা, সাতক্ষীরায় প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। চাকরির সুবাদে এবং অন্যান্য ভাবে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার সংস্পর্শে আসেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। এমতাবস্থায়, COVID-19 সংক্রমণ প্রতিরোধ কল্পে এবং এলাকাবাসীর সর্বোত্তম স্বার্থে ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানটি এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাসা শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর নির্দেশনা মোতাবেক লক ডাউন ঘোষনা করা হয়।

লকডাউন করার সময় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্ভাব্য যাদের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন, সে বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হয়। এভাবে, গোপীনাথপুর, রাজনগর এবং উত্তর কাঠিয়ার মোট সাতটি বাসা এবং প্রতিষ্ঠান লকডাউন করা হয়। এ সময় এলাকাবাসী কে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা, নিজ বাসায় অবস্থান করা এবং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যে সকল ব্যক্তির বাসা লকডাউন করা হয় তারা হলেন-
১. দীপঙ্কর, গোপীনাথপুর
২.রোকনুজ্জামান, উত্তর কাটিয়া
৩.ইব্রাহিম চৌধুরী, উত্তর কাটিয়া
৪. দীপঙ্কর কুমার ঢালী, রাজনগর
৫. তারক মাস্টার, রাজনগর
৬. ইশরাত, পিতা ইব্রাহিম চৌধুরী উত্তর কাটিয়া

শুক্রবার সকালে লক ডাউন অভিযান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিনের নেতৃত্বে সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, এস আই আহম্মাদ সহ সঙ্গীয় ফোর্স।এসময় ৬ টি বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে ও বাড়িতে লক ডাউন সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন।এসময় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লক ডাউন করা ৬ টি পরিবারের মাঝে ক্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন