ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহন করেছে সাতক্ষীরা প্রশাসন। রোববার বেলা তিনটায় জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

বিকেলে জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার পর রাত ৯ টায় প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলার প্রস্তুতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলার ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও এক হাজার ৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মোকাবেলার জন্য জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যে কোন ধরণের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা থেকে রক্ষা পেতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে আসার জন্য আগামীকাল (সোমবার) থেকে কাজ শুরু করা হবে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যেন সামাজিক দূরাত্ব বজায় রাখতে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে কাজ করবে প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, আগামীকাল (সোমবার) জানা যাবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা। বর্তমানে ঘূণিঝড়টি সাতক্ষীরা উপকূল থেকে আজ রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত ১২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ৮৯-১১৯ কিলোমিটার গতিবেধে আঘাত হানছে। সমুন্দ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় চার নম্বর সর্তকর্তা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন