আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোন ধরনের চাঁদাবাজি না হয় সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।
তিনি বলেছেন, সড়ক ও নৌপথে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে।
এ সময় কোরবানির পশুবাহী গাড়ি অথবা ট্রলার কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া না থামানোর নির্দেশ দেন আইজিপি।
বৃহস্পতিবার(২৩ জুলাই) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সকল ইউনিট প্রধানদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ কোরবানির পশুবাহী গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে ক্যাম্প স্থাপন করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সাথে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
তিনি বলেন, পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কেউ পশুরহাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য স্বাভাবিক ট্রাফিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন আইজিপি।
ঈদকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া তল্লাশীর নামে কোন গাড়ি থামানো যাবে না। তিনি বলেন, ট্রেনের টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সে ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাস এবং অন্যান্য পরিবহনে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।
‘যাত্রা শুরুর প্রান্তেই সকল ধরনের পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়ক, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার, করিমন, নসিমন ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।’
আইজিপি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু কিছু অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধ বন্ধের লক্ষ্যে পেট্রোল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।