শুধু কথায় নয়, যাপিত জীবনের প্রতিক্ষণে অনুক্ষণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা জীবনবোধের জন্য অপরিহার্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে শুধুমাত্র স্বাধীনতাই এনে দেননি, শুধুমাত্র একখন্ড ভূখন্ডই এনে দেননি, এনে দিয়েছেন সত্যিকার অর্থেই জাতিসত্তার মানচিত্র। রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক মূল্যবোধ ও জীবনমানের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবোধের উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখাপড়া এবং পরিচর্যা করা আমাদের সকলের জন্যই, এই বাঙালি জাতির প্রতিটি নাগরিকের জন্যই পরম সৌভাগ্যের বিষয়।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক আয়োজিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ২০২০ উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সকলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ পিপিএম (বার) এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের জন্য তিনটি গ্রুপে রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘জাতির পিতার রক্তঋণ ও আধুনিক বাংলাদেশ পুলিশ’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ এবং ‘আমার দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু’। ক গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেন সহকারি পুলিশ সুপার মো: ইমরান আহম্মেদ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাত আদনান তাইয়ান। খ গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেন এসআই নয়ন মিয়া, দ্বিতীয় স্থান এসআই প্রদীপ মিত্র এবং তৃতীয় স্থান পিএসআই সিতাংশু কুমার দাস। গ গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেন নারী কনস্টেবল তাহমিনা আক্তার,দ্বিতীয় স্থান কনস্টেবল রুকনুজ্জামান এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন নারী কনস্টেবল মনিশা আক্তার।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এরকম আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারাটাও আমাদের জন্য এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয় উল্লেখ করে আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। প্রতিবছর যেন এরকম আয়োজন আমরা করতে পারি এবং উৎকৃষ্ট ও বিজয়ীদের লেখা নিয়ে প্রতিবছর বিশেষ সংকলন প্রকাশ করার নির্দেশনা প্রদান করেন ড. বেনজীর আহমেদ।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে উক্ত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজিপি বৃন্দ, ডিআইজি বৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।