একজন বৃটিশ নাগরিক ভ্যাকসিন নিয়ে আলাপে জানালেন রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তবে কবে ভ্যাকসিন পাবেন জানেন না। ফাইজার, মডার্না নাকি অক্সফোর্ড-কোনটি নেবেন, উত্তরে জানালেন যে বাছাই করার সুযোগ নাই, অথরিটি যেটি নির্ধারণ করবেন, সেটিই নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত একবন্ধুর জবাবও অনেকটা একই রকম। ভারতীয় এক বন্ধুর কাছে জানলাম, সেখানে ফ্রন্টলাইনারদের প্রায় একচেটিয়া ভারত বায়োটেক তৈরী Covaxin প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে শুধুমাত্র ন্যাশনাল আইডি হাতে নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে গেলে রেজিষ্ট্রেশনসহ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, যেখানে উন্নত দেশগুলোতে রেজিষ্ট্রেশন করে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পরিচিত কেউ কেউ অবশ্য সিরাম ইন্সটিউটে তৈরি হয়েছে কাজেই এটি ভারতীয় ভ্যাকসিন বলে সন্দেহ করছেন। কিন্তু উনারা জানেন না যে শুধু নিজেরা নয়, অতি আদরের সন্তানদের জন্মের পর থেকে যত ভ্যাকসিন দিচ্ছেন তার অধিকাংশই সিরাম ইনস্টিউট বাজারজাত করছে।
ভ্যাকসিন গ্রহনের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার পর পরিচিত অনেকেই কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে জানতে চেয়েছেন। ভ্যাকসিন গ্রহনের জায়গায় সামান্য ব্যথা ছাড়া অন্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রয়া এখন পর্যন্ত বুঝতে পারি নাই যদিও ৭/২/২১ এ ভ্যাকসিন নিয়েছি। এখনও দিব্যি সুস্থ আছি, আগের চেয়ে অধিক আত্মবিশ্বাস নিয়ে কর্মব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছি। আমার এক নবীন সহকর্মী বলেছেন যে তার চার মাসের শিশু জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত একাধিক ভ্যাকসিন নিয়েছে, আর তার বাবা হিসাবে একটা ভ্যাকসিন নিতে ভয় পাবে কেন? যথার্থই বলেছে বলে মনে করি। আর এটি কোন বিবেচনায়ই ভারতীয় ভ্যাকসিন নয়, এটি ডঃ সারাহ গিলবার্ট আবিষ্কৃত ‘অস্ট্রাজেনেকা’ ভ্যাকসিন। তাই আর কোন সংশয় নয়, অবিশ্বাস নয়, আসুন রেজিষ্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন গ্রহন করি, করোনাকে পরাজিত করি।

লেখক : মো: মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার,পিপিএম-বার,সিটিটিসি ইউনিট প্রধান এন্ড অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন