ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) বলেছেন, পুলিশ সেবা দিতে এসেছে। এজন্য পুলিশের ট্যাগ লাইন ‘চাকরি নয়,সেবা’। তিনি বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে মৌলিক অধিকারের ধারাগুলো জানতে হবে।

একজন পুলিশ সদস্য চাইলে যে কোনো সময় কাউকে গতিরোধ করতে পারেন। এই ক্ষমতার প্রয়োগের জন্য তাকে জানতে হবে, পড়তে হবে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ লাইন্সে এক সভায় আইজিপি কক্সবাজার জেলা পুলিশসহ সব ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

এ সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত আইজিপি, চট্রগ্রাম  রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন,কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান সহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, অন্য কোনো সার্ভিসে কেউ একজন অপকর্ম করলে, কেউ বলে না সমগ্র সার্ভিস দোষী। কিন্তু পুলিশের একজন অপকর্ম করলে পুরো পুলিশ বিভাগকে দায়ী করা হয়। পুলিশের আইজি পর্যন্ত এই বদনাম আসে।

আইজিপি বলেন, ‘যেখানে আলো আছে, সেখানে তাপও থাকবে। আমি আলো নেব, তাপ নেব না- সেটা ঠিক নয়। প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে মৌলিক অধিকারের ধারাগুলো জানতে হবে। সংবিধান বলে, প্রতিটি সদস্যের মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা, বিবেক দিয়ে চিন্তা ও কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ সেই স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রকে সেবা দিতে এসেছি, এজন্য আমাদের ট্যাগলাইন- চাকরি নয়, সেবা। আমাদের চাকরিতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে সৎ কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। যে এর বাইরে কাজ করে, সে সঠিক জায়গায় আসেনি।’

সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আইজিপি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের সুবিধা দেখব। সেই সাথে সব পর্যায়ে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আমরা আন্তঃডিভিশন বাস সার্ভিস চালু করেছি পুলিশের জুনিয়র সদস্যদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। কমিনিউটি ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছে, যার অধিকাংশই নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ ধরনের সুবিধা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন