খুলনা র্যাব-৬, তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, প্রতারকচক্র, মানব পাচারকারীদের গ্রেপ্তার এবং মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি)-এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন বাদে কাড়াপাড়া এলাকায় গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রাত অনুমান ৩টার সময়ে রবেল (২৬) ও তার সহযোগী সজল মল্লিককে (২৮) ভিকটিমের বসতঘরের পিছনের দরজার সামনে পাহারায় রেখে কৌশলে ঘরে ঢুকে ভিকটিমের তিন বছরের সন্তানের সামনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঘরের ভিতর থেকে টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার সদর থানায় আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১৭, তারিখ-১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ৯(১)/৩০ তৎসহ ৩৮০ পেনাল কোড। মামলাটি র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি)-এর একটি চৌকস আভিযানিক দল পলাতক আসামিদ্বয়কে গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এর প্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ গভীর রাতে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি)-এর চৌকম আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন লখপুর কাহারডাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি রুবেল (২৬), পিতা-মৃত জাকির হোসেন, সাং-বাদে কারাপাড়া, থানা ও জেলা- বাগেরহাটকে গ্রেপ্তার করে।
খুলনা র্যাব সদর দপ্তর খুলনায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এইসব তথ্য জানান র্যাব কর্মকর্তারা। এর আগে খুলনা র্যাব-৬ আভিযানিক দলের অভিযানে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের মূলহোতাসহ ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। বুধবার র্যাব-৬’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মাদ মোসতাক আহমদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সহযোগিতায় অল্প বয়সি তরুণদের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আসামি আক্তার মোল্লার মাধ্যমে পাচার করে। এছাড়া ভুয়া সিআইডি অফিসার গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব খুলনা। বর্তমানে র্যাবের ওপর খুলনার মানুষের আস্থা বেড়েছে বলে ব্যাবসায়ীরা জানান।