ঋতুরাজ বসন্ত। আমাদের ষড় ঋতুর বাংলাদেশে এক অপরূপ রূপে ধরা দেয় বসন্ত। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যেন ফিরে পায় নতুন প্রাণ। নতুন পত্র পল্লবে শোভিত হয় বৃক্ষরাজি। বর্ণিল আয়োজনে বসন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে নানা রঙে রাঙা বসন্তকে বরণ করলো বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
পুনাক আজ (২৪ মার্চ ২০২২) রাতে রাজধানীর রমনায় পুলিশ কনভেনশন হলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও পুনাকের প্রধান উপদেষ্টা ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনাকের সহ-সভানেত্রী নাসিম আমিন।
আইজিপি বলেন, করোনাকালে আমরা কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারিনি। পুনাকের বসন্ত উৎসব আয়োজন এক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
এ উপমহাদেশে বসন্ত উৎসবের ইতিহাস উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে বসন্ত উৎসবের ইতিহাস অনেক পুরনো। বসন্ত উৎসবকে জনপ্রিয় করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বসন্তের বিশেষ ভূমিকা আছে। এটা আমাদের শেকড়ের অংশ।
তিনি বলেন, বিশ্বে কখনো কোন মহামারী বিজয়ী হতে পারেনি। বিজয় হয়েছে মানব জাতির। একদিন করোনাও পরাজিত হবে, মানবজাতি বিজয়ী হবে। আগামীতে আমাদেরকে করোনার ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে হবে না।
আইজিপি বলেন, পুনাক সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের গন্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার জন্য পুনাক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি পুনাকের শিশু-কিশোরদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা তাঁর বক্তব্যে পুনাকের কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, পুনাকের বর্তমান সভানেত্রীর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে পুনাক আজ এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। আগামীতে পুনাক একটি ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত পেতে চায়।