সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অতন্ত্র প্রহরী হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তাই জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম হচ্ছে র্যাব, যোগ করেন তিনি।
সোমবার দুপুর ১টায় র্যাব-৯-এর সদর দপ্তরে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে র্যাব-৯। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের তরে কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৯। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এ সকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।’
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সব অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার কেউ আইন-বিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
র্যাব তার নীতিতে অবিচল উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘বান্দরবনের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গহীন অরণ্যে শুধু নয়- জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।’