সাতক্ষীরা সদরের সাবেক এমপি রবি ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সহ ১৬জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 81 দর্শন

 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গায় বিএনপি কর্মী জাকির হোসেনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এবার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, তৎকালিন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান, তৎকালিন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মহিদুল ইসলামসহ ১৬জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কেরামত গাজীর ছেলে ও নিহতের ভাই আবুল কাশেম গাজী। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিরা হলেনÑসাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহরের মুনজিতপুরের মৃত মীর এশরাক আলীর ছেলে মীর মোস্তাক আহম্মেদ (রবি), সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ  সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. মহিদুল ইসলাম, এসআই হাসানুর রহমান, কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, ব্রহ্মরাজপুরের আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে মনিরুজ্জামান তুহিন, জাহানাবাজের মৃত শাহামত এর ছেলে আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদের ছেলে মোক্তার হোসেন, জিয়ালা গ্রামের মৃত মান্দার সানার ছেলে আব্দুস সালাম সানা, দহাকুলার মৃত তায়জেলের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে কোপা মাসুদ, ভালুকা চাঁদপুরের মৃত শফি বাবু চৌধুরীর ছেলে ধুলিহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজান চৌধুরী, শাল্যে গ্রামের মৃত আব্দুল গফ্ফারের ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ঘোনার সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান মোশা ও ধুলিহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা বাজারে জনৈক বিপ্লবের চায়ের দোকানে বিকাল ৫টার দিকে বিএনপি কর্মী জাকির হোসেন তার বন্ধুদের সাথে কেরামবোর্ড খেলার সময় সকল আসামীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় এসআই হাসানুর ও কনস্টেবল আনোয়ারসহ আরো ২/৩জন কনস্টেবল তাকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে দুই হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে সমস্ত শরীরে ব্যাপক মারপিট ও জখম করে সেখান থেকে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে সাতক্ষীরা অভিমুখে নিয়ে আসে। এরপর এ মামলার বাদী আবুল কাশেম তার ছোট ভাই অপহৃত জাকিরকে সদর থানা ও ডিবি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তাকে কোথাও সন্ধান পাননি। একপর্যায়ে ঘটনার দুই দিন পর ৩ জানুয়ারি রাত তিনটার দিকে দামারপোতা ওয়াপদা বেঁড়িবাধের নিচে বেতনা নদীর চরে সকল আসামীদের প্রকাশ্য ইন্ধনে তার হাত পা ও চোখ বেঁধে দুই রাউন্ড গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ তার পরিবারেরর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো বিষয়টি নিশ্চিত করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন