পেঁয়াজ,হুজুগ এবং অর্থনৈতিক মূল্য : এসডিএফ চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 672 দর্শন

 

পেঁয়াজ,হুজুগ এবং অর্থনৈতিক মূল্য : 

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম।একজন গোপাল ভাঁড় ধরনের শিল্পী মন্চে আসলেন।ধুতি পরা।খালি গা।বুকে একটা চিনি চাম্পা কলার ছড়ি। নাচ ও গান শুরু করলেন। পাগলা বাবা কলা খাবা গাছ লাগাইয়া খাওয়া। গান করেন আর কলা ছিড়ে দর্শকদের ছুড়ে মারেন। কথা সত্যি।কলা খেতে হলে গাছ লাগাইয়া খাওয়া উচিত। পেয়াজ খাওয়া বাঙালীর সুনাম বা দূর্নাম দীর্ঘ দিনের। পবিত্র রমজানে আমরা পিয়াজু খাই। পিয়াজের এ রকম বহু আইটেম রন্ধন শিল্পীরা বানাচ্ছেন। পিয়াজ খেতে হলে পেয়াজ চাষ করিনা কেন?। পেয়াজ আপেল নয় যে বরফ পতন লাগবে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পেয়াজ আমদানীতে ব্যয় হয় ১৭৮২ কোটি টাকা।সূত্র বাংলাদেশ ব্যাংক।শুলক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ঐ বছরে পেয়াজ আমদানীতে ব্যয় ১৯৩৭ কোটি টাকা। পেয়ঁাজের মাথাপিছু ভোগ ১৯৯৫ সালে ১১.৬০ গ্রাম ছিল ২০১৬ সালে ৩১.০৪ গ্রাম। ২০১৪ -১৫ সালে যোগান ছিল ২১.২৭ লক্ষ টন ১৭-১৮ সালে ২৮.০২ লক্ষ টন।২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উৎপাদন ২৩.৩ লক্ষ টন। চাহিদা,উৎপাদনে কিছু গ্যাপ থাকবে।ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সেই সুযোগ বিবেকহীন ভাবে নেয়।আইন প্রয়োগ করেও নিয়ল্ত্রন কঠিন। কিন্তু আমরা হুজুগে কেন গা ভাসাবো?কনজুমার পাওয়ার কেন প্রয়োগ করবো না?পেয়াজ কম খেলে জীবন রক্ষা হবে না তা নয়?যে জিনিসের মূল্য বাড়বে তা কম খেতে হবে। করোনা কি আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রন শিক্ষা দেয় নি? হুজুগের দাম হাজার হাজার কোটি টাকা তা বন্ধ করতে পেয়ঁাজের উৎপাদন বাড়িয়ে, ভোগ কমিয়ে অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে।

লেখক: মো: আবদুস সামাদ,সাবেক সফল জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার খুলনা,অবসর প্রাপ্ত   সিনিয়র সচিব নৌপরিবহন মন্ত্রালয় ও এসডিএফ চেয়ারম্যান (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) ঢাাকা, বাংলাদেশ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন