আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মারামারির সাথে জড়িত থাকায় নরসিংদীতে ৯ টি অস্ত্র সহ আটক ১৩।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 444 দর্শন

 

নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ি ও নীলক্ষায় গতকাল শুক্রবার আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মারামারির সাথে জড়িত ১৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে তাদের দখল হতে ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র ৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (সদ্য ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) আবু কালাম সিদ্দিকী। এসময় নরসিংদীর নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শুক্রবার বাশগাড়ি ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এর অনুসারী কবির সরকার ও পরাজিত চেয়ারম্যান সাহেদ সরকারের অনুসারী জাকির হোসেন নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার এর উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক ব্যাক্তি প্রস্তুতি নেয়। এই দুই পক্ষ বাশগাড়ী পিয়ারাকান্দি এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সে সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১০ জনের মতো আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তোফায়েল রানা (১৮) মারা যায়। এই সংঘর্ষ শুরু হলে আশেপাশের মির্জাচর ও নীলক্ষায় থাকা সাহেদ সরকার ও সিরাজুল হক সরকারের সমর্থকরা বাশগাড়ীর বটতলীকান্দি সোবহানপুওে ঝগড়ার প্রস্তুতি নেয়। এখানে যা পুলিশ তৎপড় থাকায় তারা পিছু হটে।

বাশগাড়ীর মতো নিল¶া ইউনিয়নেও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের সমর্থকরা চুক্তিবদ্ধ হয়ে অর্থের বিনিময়ে বাঁশগাড়ি এলাকায় বিভিন্ন প¶কে সমর্থন দিয়ে সংঘর্ষে অংশ নিয়ে থাকে। এরমধ্যে নিল¶া এলাকার তাজুল ইসলামের সমর্থকরা বাঁশগাড়ী এলাকার সিরাজুল হকের সমর্থক এবং আবদুল হকের লোকজন শাহেদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থক লাঠিয়াল সর্দার ও টেটা যুদ্ধের নেতা ছমেদ আলী নীলক্ষায় তার আধিপত্য বিস্তার করতে দলবল নিয়ে গোপীবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। ছমেদ আলীর প্রবেশ ঠেকাতে সাবেক চেয়ারম্যান হক সরকারের সমর্থক সাবেক মেম্বার সহির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘষে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষটি দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ইউনিয়নের বীরগাঁও, গোপীনাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক টেটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এই সংঘর্ষে তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব হোসেন ও পরে আবদুল হক সরকারের সমর্থক ¯^পন মিয়া নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরমধ্যে সোহরাব নিল¶ার বীরগাঁও এলাকার উসমান মিয়ার ছেলে এবং ¯^পন মিয়া গোপীনাথপুর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে।

সংঘর্ষেও পর থেকেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বাতœক চেষ্টা করে। পুলিশের অভিযানে ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ ১৩ জন কে আটক করা হয়েছে। অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিউল করিম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

আটকৃতরা হলো, বটতলী কান্দি এলাকার হাজী সিরাজ মিয়ার ছেলে ডা. আমিনুল ইসলাম লিটন (৩৬), লুৎফর রহমানের ছেলে মঙ্গল মিয়া (১৯), মৃত হোরা ডিলারের ছেলে সালাউদ্দিন (২৬), বালুয়াকান্দি এলাকার মৃত মহরম আলীর ছেলে মাইনুদ্দিন (৩২), আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (১৯), মৃত গফুর মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (১৯), নূর হাসানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৭), সালাউদ্দিনের ছেলে সফর উদ্দিন (২৪), হাবিবুর রহমানের ছেলে জিয়া (২৭), মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মো. গয়েছ আলী (৩২) , চরমধুয়া এলাকার মৃত জনাব আলীর ছেলে মো. কামাল (২৭), কেরামত আলীর ছেলে মো. দানা মিয়া (১৯), আবুল হোসেন শিকদারের ছেলে মো. খাজ আলী শিকদার(২৬)।
৩ জন নিহতের ঘটনায় মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন