নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমাতে আরিচা-নগরবাড়ী রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এছাড়া আরিচা- রাজবাড়ীর নরাদহ রুটে ফেরি সার্ভিস এবং সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীকে আধুনিক বন্দরে পরিণত করা হবে। বাংলার মানুষের চাহিদা ও অনুভতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালভাবে বুঝেন। বিগত ৪০ বছরে দেশের উন্নয়নে যা হয়নি, তা শেখ হাসিনার সরকার করতে পেরেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ পাবনার নগরবাড়ীতে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হরিনাথপুর এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল মাঠে এক সুধি সমাবেশে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধৃকে হত্যার পর নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নৌপথ খননের জন্য বিআইডব্লিউটিএর বহরে ৭ টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত কোন সরকার বিআইডব্লিউটিএর জন্য ড্রেজার ক্রয় করেনি। গত ১০ বছরে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০০ ড্রেজার নংগ্রহ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, সুজানগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, আব্দুল কাদের।
উল্লেখ্য, ৫১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীবন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষ হবে। প্রকল্পের মূল কাজগুলো হলোঃ ভূমি উন্নয়ন, ড্রেজিং, পাকা জেটি, তীর রক্ষা বাঁধ, সংযোগ সড়ক, স্টীল গ্যাংওয়ে, পন্টুন, কাঁটাতারসহ সীমানা প্রাচীর, যাত্রীছাউনিসহ পাকা সিঁড়ি,গুদাম, উন্মুক্ত মজুদ স্থান, বন্দর ভবন, প্রশাসনিক ভবন, পরিদর্শন বাংলো, ডরমেটরি ও পাইলট হাউজ নির্মাণ।
আরো উল্লেখ্য, নগরবাড়ীঘাটটি দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মালামাল বিতরণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এ ঘাটে মূলতঃ সার, সিমেন্ট, পাথর, বালি, কয়লা, খাদ্য সামগ্রি উঠানামা হয়ে থাকে। আরিচা নদী বন্দরের আওতায় ১৯৮৩ সালে নগরবাড়ী বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও সেখানে সরকারি বা বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা গড়ে উঠেনি। তাই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নগরবাড়ীতে নদীবন্দর নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন