কারাবন্দীর নারীসঙ্গ, জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 355 দর্শন

 

হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তুষার আহমেদের সঙ্গে কারাগারে এক নারীর সময় কাটানোর ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে তাদেরকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।

এর আগে আলোচিত এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা কর্তৃপক্ষ।

কোভিড-১৯ এর মধ্যে কারাবন্দিদের সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার সুযোগ না থাকলেও চলতি মাসের শুরুতে কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদের সঙ্গে এক নারীর একান্ত সাক্ষাতের ভিডিও আলোচনার জন্ম দেয়।

হলমার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার অন্যতম আসামি তুষার কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। তার সঙ্গে নারীর একান্ত সাক্ষাৎতের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতাও মিলেছে।

জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে এক নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় তুষারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাদের অনায়াসে যাওয়া-আসার দৃশ্য প্রধান ফটকের ভেতরের সিটিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই ভিডিও নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শুক্রবার ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা পৌনে ১টার দিকে কারাগারের প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় এলাকায় কালো পোশাক পরা তুষার ঘোরাফেরা করছেন। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী সেখানে আসেন। কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন কারাগারে থাকার সময়ই এ ঘটনা ঘটে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারী কারা কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় যান। সেখানে ডেপুটি জেলার সাকলায়েন ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান সাকলায়েন। কিছুক্ষণ পর কারাবন্দি তুষার আহমেদ আসেন সেখানে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন