মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের এক আতঙ্কের নাম এসপি তানভীর আরাফাত। বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের গৌরব, অত্যন্ত চৌকস, দক্ষ, মেধা সম্পন্ন, মিষ্টভাষী এই পুলিশ কর্মকর্তা। দেশের দক্ষিণ- পশ্চিম ভারতীয় সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়া জেলা। এই জেলাতে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চল একেবারেই অরক্ষিত হওয়ার কারণে অবাধে মাদক চোরাকারবারি, অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যের ও অবাধে বিচরনের মুখ্যমস্থান এই কুষ্টিয়া জেলা।

এই জেলায় দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই শুরু হয় একের পর এক অভিযান। অভিযানের ফলে মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীরা কোণঠাসা হয়ে তারা কুষ্টিয়া ছেড়ে ভারতের তারকাটা পার হয়ে অনেকেই পালিয়ে যায়। তার প্রচেষ্টায় ভারতে পালিয়ে থাকা মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মামলার মোট ১০৪ জন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে। এককালে ভয়ঙ্কর আতঙ্কের জনপদ হিসেবে ব্যাপক আলোচিত ছিল এই কুষ্টিয়া জেলা। এখন এই জনপদে শান্তির সুবাতাস বইছে।

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত সন্ত্রাস এবং মাদকবিরোধী বিশাল এক জনসভায় চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, এই জেলা থেকে আমি যদি সন্ত্রাসী ও মাদক নির্মূল করতে না পারি তবে চুড়ি পড়ে এই জেলা থেকে বিদায় নিবো।

এই চ্যালেঞ্জটা এত সহজ ছিল না, সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র তার কর্তব্যপরায়ন, অত্যন্ত নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, সদিচ্ছা, এবং তার নিজ হাতে গড়া সুদক্ষ টিম ও সকল স্তরের পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এবং নিষ্ঠার সাথে রাত দিন এক করে কাজ চালিয়ে যান সমাজের ষধি ধহফ ড়ৎফবৎ ঠিক রাখতে, কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ মানুষ এখন আর অশান্তি চাইনা, এখন এই জেলায় সাধারণ জনতার পাশাপাশি শক্তিশালী বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণটিও ছিল নজিরবিহীন। তিনি আর বলেন, সন্ত্রাসীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তারা আইনের উর্দ্ধে নয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন